ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

স্বস্তি ফিরেছে শাহপরীর দ্বীপে (ভিডিও)

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৫১, ১২ মে ২০২২

প্রতিরক্ষা বাঁধে স্বস্তি ফিরেছে কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ৪০ হাজার মানুষের। পানির সাথে এক দশক যুদ্ধ করে টিকে থাকা এসব দ্বীপবাসীর দু:খ মোচন হয়েছে। বর্ষার আগেই বাঁধ নির্মাণে সাগরের জ্বলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পাচ্ছেন তারা। 

২০১২ সালের ২২ জুলাইয়ের জোয়ারে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া বাঁধ ভেঙে মসজিদসহ কয়েকশ' বসতভিটা সাগরে বিলীন হয়ে যায়। লোকালয়ও গ্রাস করে লোনা পানি। টেকনাফ উপজেলা থেকে দ্বীপে যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি ভেঙে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন দ্বীপবাসী। 

জোয়ারের পানিতে লবণ মাঠ, ঘের, ফসলিজমি ও বসতভিটার ক্ষতি হচ্ছিল প্রতিনিয়ত। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই আতঙ্কে ঘুম হারাম হচ্ছিল দ্বীপবাসীর। তাদেরকে দু:খ-দুর্দশা মুক্ত করতে প্রতিরক্ষা বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সরকার। 

স্থানীয় দ্বীপবাসিরা জানান, “প্রধানমন্ত্রী হাজার হাজার দ্বীপবাসীর জন্য একটি মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন।”

তিন কিলোমিটার ভাঙনরোধে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে শাহপরীর দ্বীপ প্রতিরক্ষাবাঁধ প্রকল্প। নৌ-বাহিনীর তত্ত্বাবধানে দু’পাশে সিসি ব্লকের সাহায্যে বাঁধটি সংস্কার করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এসটিএ’।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এসটিএ’ গ্রুপের প্রতিনিধি উত্তম কুমার শাখারী (ননী) বলেন, “কাজের প্রায় ৮৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। গাইড ওয়ালের কাজ শেষ, ব্লকের কাজ বাকি আছে ১৫ শতাংশ। সেটা মে মাসের মধ্যে এই কাজ সমাপ্ত হবে বলে আশা করছি।”

যোগাযোগ সহজ হওয়ার পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে সাগরের তীব্র জোয়ার থেকে রক্ষা পাবে দ্বীপবাসী, বলছে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ বলেন, “বাঁধের ফলে বর্ষা মৌসুমে তীব্র জোয়ার থেকে শাহ পরীর দ্বীপ এলাকা পুরোপুরি রক্ষা পাবে বলে আশা করছি।”

দীর্ঘদিন পর টিকে থাকার আশা জাগালেও বেড়িবাঁধের নিয়মিত সংস্কার ও সংরক্ষণের দাবি দ্বীপবাসীর।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি