ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আটক স্বামীর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু

জয়পুরহাট প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৯:০৭, ৯ জুন ২০২২

জয়পুরহাটে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আটক স্বামী মনিরুজ্জামানের পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় তাকে জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট দেওয়ানপাড়া মহল্লার একটি ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়েছিল। 

নিহত মনিরুজ্জামান (৪৮) দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বড় ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপুর গ্রামের কুইন বেগমের সঙ্গে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বড় ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামানেরর বিয়ে হয়। দাম্পত্য কলহের কারণে দশ মাস আগ তাদের মধ্য বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে কুইন বেগম জয়পুরহাট শহরের নতুনহাট দেওয়ানপাড়া মহল্লায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। 

মনিরুজ্জামান গত মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রাচীর টপকিয়ে তার সাবেক স্ত্রী কুইন বেগমের ভাড়া বাসায় ঢোকেন।  তিনি স্ত্রীকে আবারও নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে বুঝানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি সাবেক স্ত্রীকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করেন। 

৯৯৯ ট্রিপল নাইনে ফোন কল পেয়ে পুলিশ সদস্যরা শহরের দেওয়ান পাড়া মহল্লায় যায় এবং সেখান থেকে সাবেক স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মনিরুজ্জামানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় তার বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা করেন সাবেক স্ত্রী। 

পুলিশ আহত ও অসুস্থ অবস্থায় মনিরুজ্জামানকে বুধবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফের থানায় নিয়ে যায়। এরপর তাকে আদালতে পাঠানোর সময় আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তার মৃত্যু হয়।

নিহতের প্রথম স্ত্রীর বড় বোন জানান, ছোট স্ত্রীর নির্যাতনে তার বোন জামাইর মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সরদার রাশেদ মোবারক বলেন, পুলিশ মনিরুজ্জামানকে ঘটনার তিন ঘন্টা আগে একবার হাসপাতালে এনেছিল। দুপুর সাড়ে বারোটায় তাকে আবারও হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। 

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান বলেন, মুনিরুজ্জামান তার সাবেক স্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে ড্রাগ নিয়েছিলেন বলে জানানোর পর তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে তাকে থানা হাজতে রাখা হয়। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ দ্রুত তাকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

ময়নাতদন্তের পর লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওসি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি