ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী সহিংসতা: ৩ মামলায় আসামি ৮ শতাধিক

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আসামী করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা আটশ’ জনের বিরুদ্ধে।

রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করে রানীশংকৈল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদ ইকবাল জানান, ভোটের দিন প্রিজাইডিং অফিসারকে বাধা প্রদান, পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা ও থানা ঘেরাও করায় আলাদা আলাদাভাবে এ তিনটি মামলা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার খাতিবর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি, থানার এসআই বিলাস বাদী হয়ে ২০০ জনের বিরুদ্ধে একটি ও এএসআই আহাদ বাদী হয়ে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত বুধবার (২৭ জুলাই) রাণীশংকৈল উপজেলার বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকরা প্রিজাইডিং অফিসারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বাধা প্রদান করে। এসময় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গুলি ছুঁড়লে মায়ের কোলে থাকা সুরাইয়া নামে এক শিশু নিহত হয়। 

এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রিজাইডিং অফিসারসহ পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে পড়লে নিহত শিশুর মরদেহ নিয়ে পরিবার ও এলাকাবাসী রাণীশংকৈল থানা ঘেড়াও করে। এসময় টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

পরবর্তীতে এঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রটকে আহবায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। 

মামলার বিষয়ে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহিদ ইকবাল বলেন, তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা ৮শ’ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর আমি বলে দিয়েছি কোন সাধারণ মানুষ এতে হয়রানি হবেনা। অতএব কেউ ভয় পাবেননা। শুধুমাত্র দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
কেআই//