ঢাকা, শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

স্কুলছাত্রী অদিতা হত্যা: কোচিং শিক্ষকসহ ৩ জন আটক

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:১৮, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার স্কুলছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪) হত্যার ঘটনায় আবদুর রহিম রনি (২৫) নামের তার সাবেক এক কোচিং শিক্ষকসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক আলামতে রনির শরীরে ভিকটিমের নখের কিছু আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলেও জানা গেছে।  

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। রনি লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে।

পুলিশ সুপার জানান, মরদেহ উদ্ধারের পরপরই পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে ইসরাফিল (১৪), তার ভাই সাঈদ (২০) ও আবদুর রহিম রনিকে (২০) আটক করে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। রনির মাথা, ঘাড়, গলাসহ শরীরের একাধিক স্থানে নখের আঁচড় রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় রনি ও ইসরাফিল আলমকে গ্রেফতর দেখানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, রনির কোচিং থেকে কিছুদিন আগে পড়া বন্ধ করে দিয়ে অন্যস্থানে প্রাইভেট শুরু করে অদিতা। এতে ক্ষিপ্ত হয় রনি, যদিও পরে অদিতাদের বাসায় বিভিন্ন সময় আসা যাওয়া করতো সে।

ধারণা করা হচ্ছে, অদিতার মা ঘরে না থাকার সুযোগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে কোনো একসময় বাসায় গিয়ে অদিতাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ ও পরে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঘরে থাকা ছোরা দিয়ে হাত ও গলা কেটে অদিতাকে হত্যা করে এবং ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ঘরে আলমারিতে থাকা মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে অদিতার মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সে নোয়াখালী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। মৃতদেহটি অর্ধনগ্ন, গলা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি