আঙ্গুলের অপারেশনে শিশুর মৃত্যু, পরে পেট কাটা দেখে মামলা
প্রকাশিত : ১০:০০, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
দাফনের ১২ দিন পর শিশু মাইশার লাশ উত্তোলন
কুড়িগ্রামের শিশু মারুফা জাহান মাইশা (৫)র হাতের আঙ্গুল অপারেশন করতে গিয়ে মৃত্যু হয়। পরে গোসলের সময়ে তার পেট কাটা দেখতে পান পরিবার। এ ঘটনায় মামলা হলে দাফনের ১২ দিন পর মাইশার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তার (আইও) আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ভেলাকোপা গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মাইশার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকার রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন দাস, কুড়িগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোঃ রেদওয়ান ইসলাম, স্থানীয় কমিশনার মোঃ জমসেদ আলী টুংকু ও মাইশার পরিবারসহ এলাকাবাসী।
মাইশার বাবা মোঃ মোজাফফর হোসেন বলেন, “আমার মেয়েকে ওরা হত্যা করেছে। মেয়ের লাশ গোসলের সময় দেখতে পাই পেটে ২০টি সেলাই। আমি নিশ্চিত ওরা আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।”
মাইশার মরদেহ বাড়িতে আনা পর্যন্ত কোন কাগজ পত্র দেয় নাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তদন্ত কর্মকর্তা নয়ন দাশ বলেন, “আদালতের আদেশের কপি পাওয়ার পর ময়নাতদন্তের স্বার্থে মাইশার মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সোমবারই মাইশার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোঃ রেদওয়ান ইসলাম বলেন, “মাইশার বাবার দেয়া মামলার প্রেক্ষিতে লাশ উত্তোলন করা হল।”
উল্লেখ্য, শিশু মাইশার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরের পৌর এলাকার ভেলাকোপা ব্যাপারী পাড়া গ্রামে। সাড়ে চার বছর আগে মাত্র ৯ মাস বয়সে চুলার আগুনে মাইশার ডান হাতের আঙুল পুড়ে কুঁকড়ে যায়। গত ৩০ নভেম্বর ঢাকার মিরপুরের রূপনগরে আলম মেমোরিয়াল হাসপাতালে মাইশার আগুনে পোড়া হাতের আঙুলের অস্ত্রোপচার করার সময় শিশুটির মৃত্যু হয়।
পরে সেদিনই শিশুটির মরদেহ নিয়ে কুড়িগ্রামে ফিরে আসেন তার বাবা-মা। পরে গোসলের সময়ে তার পেট কাটা দেখতে পান।
পরিবারের দাবি মাইশাকে হত্যা করে কিডনি, ভাল্ব বের করে নিয়েছে অভিযুক্ত চিকিৎসকরা।
এএইচ
আরও পড়ুন










