ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

বিলুপ্তির পথে প্রকৃতির সম্পদ বরমীর বানর (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৭, ৬ জানুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ১২:৪৩, ৮ জানুয়ারি ২০২৩

বানর বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্যের একটি বড় অংশ দখল করে আছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বানরের পদচারণা থাকলেও ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির অন্যতম এ প্রাণীটি। মূলত খাদ্য সঙ্কট, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল না থাকায় আশঙ্কায় রয়েছে প্রাণীটি। এদের রক্ষায় কার্যকরি কোন পদক্ষেপ না থাকায় বিলুপ্তি পথে প্রাণীটি।

এ অবস্থায় বানরের খাদ্য সঙ্কট দূর করার পাশাপাশি তাদের প্রাকৃতিক ও নিরাপদ পরিবেশ গড়ার প্রতি জোর দিয়েছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরমীতে রয়েছে বানরের একটি অভয়ারণ্য। যা টিকে আছে যুগ যুগ ধরে। এখানে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন বানর দেখতে আসেন শত শত মানুষ। তারা বানরের জন্য নিয়ে আসেন মুড়ি, পাউরুটি, বিস্কুট, বাদামসহ অনেক কিছু।

তবে অতিথিদের নিয়ে আসা সামান্য খাবার এত সংখ্যক বানরের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতর বানরগুলো দল বেঁধে খাবারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। এক কথায় বলতে গেলে- ‘অভাব নষ্ট করে দিয়েছে তাদের স্বভাব’। শিখিয়েছে দক্ষ চুরি। সুযোগ পেলে বাসা-বাড়ি ও বিভিন্ন দোকানে ঢুকে খাবার চুরি করছে এরা। এদের আবার নেতৃত্ব দেয় সবচেয়ে প্রবীণতম বানরগুলো।

জানা গেছে, এরা দল বেঁধে চলে। মাঝে মাঝে শীতলক্ষ্যায় গোসল করে দল বেঁধেই। কোনো বানরকে কেউ আঘাত করলে এরা জোটবদ্ধ হয়ে তাকেও আক্রমণ করে।

শ্রীপুরের শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় ঘেঁষে প্রাচীন এই বরমী বাজারে একসময় হাজার হাজার বানর বসবাস করলেও দেখভালের অভাবে এর সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। স্থানীয়দের ধারণা খাবারের অভাবে গত দুই যুগে তিনশরও বেশি বানর মারা গেছে।

খাদ্য সঙ্কটের কারণে বানরগুলো অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এমনটি জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। বানরের খাদ্য সঙ্কট দূর করার পাশাপাশি তাদের প্রাকৃতিক ও নিরাপদ পরিবেশ গড়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

মানুষের সহানুভূতির ওপর নির্ভরশীল বানরগুলো এক গাছ থেকে অন্য গাছে লাফিয়ে মাতিয়ে রাখে পরিবেশ। দর্শনার্থীরাও বেশ উপভোগ করেন বানরের খেলা। দ্রুত প্রাকৃতিক অভয়াশ্রমের ব্যবস্থা না হলে বানরগুলো প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লষকরা।

এমএম/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি