ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

বন্ধ বাঁধ নির্মাণ, সিরাজগঞ্জে চলছে ভয়াবহ নদীভাঙন (ভিডিও)

স্বপন মির্জা, সিরাজগঞ্জ থেকে

প্রকাশিত : ১৬:০৭, ১২ জানুয়ারি ২০২৩

ছয়মাস ধরে বন্ধ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণকাজ। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের কয়েকটি গ্রামে আবারও চলছে ভয়াবহ নদীভাঙন। বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি। আতঙ্কিত এলাকাবাসী। 

শুষ্ক মৌসুমে সামান্য স্রোতেই ব্রাহ্মণগ্রাম, আড়কান্দি, পাকড়তলা, ভেকা ও পাঁচিল গ্রামে ভাঙছে যমুনা নদী। একের পর এক বিলীন হচ্ছে ঘর-বাড়ি, জমি-জমা। 

যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙন ঠেকাতে এনায়েতপুর থেকে শাহজাদপুরের কৈজুরী মোনাকষা পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প ১১ বছরের পুরোনো। সাড়ে ছয় কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ব্যয় হবে ৬৪৭ কোটি টাকা। প্রথম দফায় গত বন্যার আগে বালু ভরে জিওব্যাগ ফেলেছিল ১৯টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বন্যার পানিতে অনেকটাই ভেসে যায় সেগুলো।

স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদারদের উদাসীনতার জন্য এই অবস্থার সৃষ্টি। বস্তা ফেলানোর কথা ছিল, আগে কিছু ফেলেছিল তারপর ফেলে নাই। কয়েক বস্তা ফেলানোর পর দুই মাসেও তাদের খবর থাকে না।

নির্ঘুম রাত কাটছে ভাঙনে বিপর্যস্ত গ্রামবাসীর। আতঙ্কে অনেকেই সরিয়ে নিচ্ছেন-ঘরবাড়ি, কেটে ফেলছেন গাছপালা। 

গ্রামবাসী জানান, ভেঙে শেষে হয়ে যাচ্ছে ঘর-বাড়ি। কবে হবে বাঁধ।

প্রকল্প থমকে যাওয়ার পেছনে বরাদ্দের অর্থ না পাওয়াকে দায়ী করছেন ঠিকাদার। পূর্বপাশের চর কেটে নদীর গতিপথ পরিবর্তনসহ ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ চালুর আশ্বাস পানি উন্নয়ন বোর্ডের। 

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, “শুষ্ক মওসুম শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে ঠিকাদাররা তৎপরতা শুরু করেছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সন্তোষজনক অগ্রগতি অর্জন করতে পারবো বলে আশা করছি।”

দ্রুত স্থায়ী বাঁধটি নির্মাণ করে ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষার দাবি এলাকাবাসীর।  

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি