ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

মেঘনায় জলদস্যুদের গুলিতে ২ জেলে নিহত, অপহৃত ৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৪৬, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১৬:০৮, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মেঘনা নদীতে মাছ ধরার খেপ দখলকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। জলদস্যুদের গুলিতে ২ জেলে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৫ জন এবং জলদস্যুরা ৫ জলেকে অহরণ করে নিয়ে গেছে

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দীপ অংশে এ ঘটনা ঘটে।  

২ জেলে নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মানস বিশ্বাস বলেন, বুধবার রাত ১২টার দিকে সন্দ্বীপ কোস্টগার্ডের সদস্যরা গুলিবদ্ধ ২ জেলেকে নিয়ে আসে। কিন্তু আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময় আহত ২-৩ জনকে জেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

নিহত ২ জেলের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ জেলেরা হলেন, জিল্লুর রহমান (৩২) ও নুর আলম মিয়া (৩৫)। এদের মধ্যে জিল্লুর নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের চরমজিদ গ্রামের ভুলু মাঝির ছেলে ও মিয়া একই উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরতরাব আলী গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।  '

আহতদের একই দিন রাত ১১টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

অপহৃতরা হলেন রাজু (১৩),জুয়েল (২৬), আব্দুর রহমান (২২), হোসেন (৪০), ইসমাইল (৪০)।    

ভুক্তভোগী জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার মাইন উদ্দিন মাঝি ও অলি মাঝি মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দীপ অংশ থেকে দীর্ঘ দিন থেকে মাছ শিকার আসছেন তারা। কিছু দিন আগে মেঘনা নদীর মাছ শিকারের এই খেপ দখলের চেষ্টা চালায় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনী। বুধবার বিকালের দিকে কেফায়েত বাহিনী ওই খেপ দখল করতে জেলেদের জাল কেটে দেয়। 

খবর পেয়ে দুটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে সেখানে যায় ভুক্তভোগী জেলেরা। একপর্যায়ে জলদস্যু কেফায়েত বাহিনীর সদস্য আলতাফ, নুরউদ্দিন ও জুয়েল জেলেদের দুটি ট্রলারে দুই দফায় হামলা চালিয়ে মাছ, জাল, ট্রলারসহ কোটি টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। 

একপর্যায়ে জলদস্যু বাহিনী গুলি ছুড়লে ২ জেলে গুলিবিদ্ধসহ ৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই সময় জলদস্যু বাহিনী ৫ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।  

এ বিষয়ে সন্দীপ কোস্টগার্ড স্টেশনের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, এসব অভিযোগের বিষয়ে তাদের জানা নেই। 
 
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুময়ায়ন কবির বলেন, মেঘনা নদীতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।

এএইচ  


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি