ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫

বক্তাবলী ট্র্যাজেডি, একসঙ্গে ১৩৯ জনকে হারানোর দিন (ভিডিও)

বিমল রায়, নারায়ণগঞ্জ থেকে

প্রকাশিত : ১১:৫১, ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১১:৫৩, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী ট্র্যাজেডি দিবস আজ। একাত্তরের ২৯ নভেম্বর একসঙ্গে ১৩৯ জন স্বজনকে হারান ইউনিয়নবাসী। সেই শহীদদের মুক্তিযোদ্ধা এবং দিনটিকে গণহত্যা দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি তাদের। 

মুক্তিযুদ্ধের সময় বক্তাবলী ছিল মুক্তাঞ্চল। বুড়িগঙ্গা-ধলেশ্বরী বেষ্টিত তখনকার পরগনাটির প্রত্যন্ত ২২ গ্রামে আশ্রয় নেন মুক্তিযোদ্ধাসহ পালিয়ে আসা হাজারো মানুষ। 

চূড়ান্ত বিজয়ের বাকি মাত্র ১৭ দিন। রাত কেটে ভোরের আলো ফুটলেও স্থানীয় আর আশ্রিতদের জীবনে বয়ে আনে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। 

গ্রামের পর গ্রামে দিনভর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও এদেশের দোসররা। গান পাউডারে পুড়িয়ে দেয় বাড়িঘর। সারিবদ্ধ দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ারে হত্যা করে ১৩৯ জন নিরীহ মানুষকে। অনেকের মরদেহ ভাসিয়ে দেয় নদীতে।  

সেদিনের সেই দুঃসহ স্মৃতি মনে করে এখনো আঁতকে ওঠেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

স্বজন হারানো এলাকাবাসিরা জানান, এখনও মনে হচ্ছে চোখের সামনে পাকবাহিনীরা গুলি করতাছে, মারতাছে। যাকেই সামনে পেয়েছে তাকে মারধোর করেছে।

গণহত্যা দিবস আর শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি মেলেনি স্বাধীনতার ৫২ বছরেও। খোঁজ-খবর নেয়া হয় না স্বজন হারানো পরিবারগুলোরও। 

এলাকাবাসী জানান, ১৩৯ জন শহীদ এখানে ঘুমিয়ে আছে। তাদেরকে যেনো যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়। এই পরিবারগুলোকে সরকার থেকে সহায়তা করা হোক।

বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, অস্বচ্ছল পরিবারগুলো যেন সরকারিভাবে সহযোগিতা পায়, স্বাধীনতা যুদ্ধে তারা যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেই ত্যাগের যেন মূল্যায়ন পায়।”

নানা আয়োজনে বেদনা আর বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণীয় দিনটি পালন করছেন বক্তাবলীবাসী।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি