ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রেমের কারণে পায়ের রগ কাটা হলো এসএসসি পরীক্ষার্থীর

নড়াইল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৩৪, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

এসএসসি পরীক্ষার্থী এক প্রেমিকের পায়ের রগ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তার হাতও কেটে ফেলার অপচেষ্টা চালায় তারা। 

তবে এ ঘটনায় বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকাল পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকালে নড়াইল পৌরসভা সংলগ্ন কাড়ারবিলের মাছের ঘেরে এসএসসি পরীক্ষার্থী আরিয়ান মোল্যাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয় সস্ত্রাসীরা। 

আরিয়ান নড়াইল শহরের মহিষখোলা এলাকার মোহাম্মদ মোল্যার ছেলে। এছাড়া নড়াইল পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী আরিয়ানসহ তার পরিবারের সদস্যরা জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে প্রাইভেটকারযোগে আরিয়ানকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এরপর কাড়ারবিলের মাছের ঘেরে নিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত আরিয়ান জানায়, গত মঙ্গলবার বিকালে বাসায় ছিল সে। এ সময় আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম পলাশ বাড়িতে এসে তাকে ডাকাডাকি করেন। কিছুক্ষণ পর দক্ষিণ নড়াইল এলাকার তুষার শেখ (৩৫) ও রয়েল মোল্যা (৩০) এসে আরিয়ানকে জোর করে প্রাইভেটকারে ওঠায়। 

 এ সময় প্রাইভেটকারে আরও দু’জন নারী ছিলেন। নড়াইল পুলিশ লাইনসের সামনে এসে ওই দুইজন নারী প্রাইভেটকার থেকে নেমে যান। এরপর আরিয়ানকে নড়াইল-গোবরা সড়কের কাড়ারবিলে মাছের ঘেরে নিয়ে যায় তারা। এ সময় তুষার, রয়েল ও এলান আরিয়ানের হাত-পায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। 

আরিয়ান জানায়, জীবন বাঁচতে তাদের হাত-পা ধরেছি। অনেক বিনয় করেও রক্ষা পাইনি।

স্থানীয়রা জানান, নড়াইল শহরের আলাদাতপুর এলাকার এক কিশোরীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আরিয়ানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে পরিবারের আর্থিক অবস্থা এবং প্রভাব-প্রতিপত্তি বেশি থাকায় প্রেমের বিষয়টি মেয়ের পরিবার ও আ্ত্মীয়-স্বজন মেনে নিতে পারেনি। এ কারণেই আরিয়ানকে অপহরণ করে পায়ের রগ কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
 
প্রেমিকার মা নড়াইল শিবশংকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তার নির্দেশেই প্রেমিক আরিয়ানের পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুল গাফফার বলেন, ছেলেটির ডান পায়ের রগ কাটা (টেন্ডু একলিস্ট) পড়েছে।

আরিয়ানের প্রতিবেশি নড়াইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাজী জহিরুল হক বলেন, আমার ওয়ার্ড থেকে দিন-দুপুরে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হাত পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি।

এদিকে, আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম পলাশ বলেন, আরিয়ানের বাবা বিষয়টি (প্রেমঘটিত সমস্যা) মেটানোর জন্য আমাকে বলেছিলেন, এ কারণে আরিয়ানদের বাসায় গিয়েছিলাম। আমি চলে আসার পরে কি ঘটেছে সেটা জানি না।

নড়াইল সদর থানার ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে একাধিক টিম অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে বুধবার বিকাল পর্যন্ত থানায় কোনো এজাহার দেয়া হয়নি।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি