ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

খোকসায় গড়াই নদীর পানির স্বল্পতায় জীববৈচিত্র্য ও কৃষি কাজের টানাপোড়েন

রঞ্জন ভৌমিক 

প্রকাশিত : ১৪:১৭, ১ মার্চ ২০২৪

পদ্মার শাখা গড়াই নদীতে পানি না থাকায় জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। বিশুদ্ধ পানীয় জলের  অভাব দেখা দিয়েছে নদীর ভাটির এলাকায়। অগভীর নলকূপ গুলো এখন পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। পদ্মার শাখা গড়াই নদীর তালবাড়িয়া থেকে উৎপত্তি হয়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালী খোকসা হয়ে শৈলকুপার দিকে ধাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যে নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকার কারণে বড় বড় চর জেগে উঠেছে।  

নদী কেন্দ্রিক জেলে পরিবারের মাঝে এখন হতাশা বিরাজ করছে। গড়াই নদীতে যতটুকু পানি রয়েছে , সেখানেও অসাধু  জেলেরা গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ শিকারের কারণে  পানিতে জীববৈচিত্র্য এখন বিলীন হতে চলেছে। গড়াই নদীতে মিঠা পানির এই উৎসই সুন্দরবনের ফুসফুস নামে পরিচিত। একদিকে নদীর নাব্যতা অপরদিকে মিঠা পানের উৎস বিলীন হওয়ায় স্থানীয়ভাবে জেলে এবং কৃষকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। 

জেলেপল্লীর কয়েকজন জেলেরা জানায়, বছরের ছয় মাস পানি থাকলেও বাকি ৬ মাস তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক টানাপোড়েন দেখা দেয়। নদীতে  আরোহন করে নিজেদের জীবন জীবিকা চালালেও বাকি ৬ মাস পানি না থাকায় ছেলেমেয়েদের নিয়ে সংসারে অভাব অনটনের চলতে থাকে।  অপর দিকে খোকসা উপজেলার গড়াই নদীর কমলাপুর ও ওসমানপুর এবং আশপাশের এলাকায় অগভীর নালকুপে পানি স্বল্পতা দেখা দিয়েছে । যার ফলে বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে। 

স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহতম পদ্মা নদীর পানি  স্তর নিম্নে নেমে যাওয়ায় ভাটি গড়াই নদীর এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানীয় জলের প্রাদুর্ভাব ভাব দেখা দিয়েছে।  এ অবস্থায় গভীর নলকূপের পানি উত্তোলনে স্থানীয় মাটির পানের স্তর আরো নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। ফলে এক দিকে যেমন পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া অপরদিকে কৃষি ক্ষেত্রে মরুভূমিতে পরিণত হচ্ছে গড়াই নদীর ভাটির এলাকা। অনতিলম্বে  গড়াই নদীতে পানি স্তর না উঠলে পরবর্তীতে জীব বৈচিত্র্য ও কৃষি ক্ষেত্রে ভয়াবহ পরিণতি হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি