ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

নোয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলায় অভিযোগ 

নোয়াখালী প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ২১:১১, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নোয়াখালীর সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলু'র বিরুদ্ধে ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও গ্রাম পুলিশের প্রহরায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।রামানন্দি গ্রামে এ হামলায় ভূমি দখল,বাড়ি-ঘর ভাংচুরসহ ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েছে বলে জানা যায়। 

বুধবার সকালে চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলুর যোগ-সাজসে ও তার পরিষদের চকিদারদের প্রহরায় এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয় বলে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।এ ঘটনায় প্রতিবাদ করায় এলাকাবাসীকে মিথ্যে মামলা, হামলা এবং প্রাণ নাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বাবলুর বিরুদ্ধে।

জানা যায়, বুধবার হামলা চালিয়ে ও কুপিয়ে অন্তত ৭টি বসতঘর তছনছ করা হয়েছে।এতে নারীসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন।আহতদের মধ্যে মফিজ উল্যাহ(৭০), হোসেন আলী(৬০), নয়ন তারা(৪৫) ও মিতা আক্তার (৩০)সহ ৪ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
 
ভুক্তভোগীরা জানান, চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলুর ইন্ধনে মফিজ উল্যাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের শত বছরের পৈত্রিক ২৭ ডিসিমেল সম্পত্তি জোড়পূর্বক দখল করে একই এলাকার প্রতিপক্ষ নূরনবী পাটোয়ারির নের্তৃত্বে নুরুল আমিন, সালাউদ্দিন, নান্নু, নয়ন, রিপন, জাহিদসহ অস্ত্রোধারী শতাধিক লাঠিয়াল বাহিনী। ঘটনাকালে তারা ৯৯৯ এ পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও কোন ধরনের সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে চরমটুয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলু জানান, জমি নিয়ে দু’পক্ষের মারামারি হয়েছে এবং শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য চকিদার পাঠানো হয়েছে।তবে তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন।একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিন অভিযোগ করেন।

এদিকে, সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনার বিষয়ে এলাকার আবুল বাসার চৌধুরীসহ আরও শতাধিক লোকমুখ খোলার খবর পেয়ে চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলু তাদেরকে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন আবুল বাশার চৌধুরী।
নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

অপরদিকে একই এলাকার নিরীহ আলেয়া বেগম অভিযোগ করেন, তার এক আত্মীয়কে হত্যা করে লাশ দাফন করে চেয়ারম্যানের দুষ্কর্মের পরম স্বজন আমিনুল হক মাঝিসহ চেয়ারম্যানের এক ভাই। আদালতে দায়ের মামলা করা ওই মামলাটি তুলে নিতে চেয়ারম্যান আলেয়ার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ, ভয়ভীতি ও সন্ত্রাসী ঘটনার জন্ম দেয়। এক পর্যায়ে, চেয়ারম্যান আলেয়ার এক পুত্রকে অপহরণ করে লোমহর্ষক নির্যাতনের পর পুলিশের হাতে তুলে দেন। বর্তমানে ওই পরিবারটি চেয়ারম্যান ও তার লালিত বাহিনীর ভয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে। 
এমএস/কেআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি