ঢাকা, শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪

সিজারে নার্সের মৃত্যু, চিকিৎসককে দায়ী করে বিক্ষোভ-কর্মবিরতি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২১:১১, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাজেরা আক্তারের (২৪) অস্ত্রপচারজনিত মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতী পালন করেছে তার সহকর্মীরা। রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের ভিতরে ও বাইরে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

এসময় বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে তারা ওটি কমপ্লেক্সে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: আবু মো: জাকির উল ইসলামকে আধা ঘন্টার মত তালাবদ্ধও করে রাখে। 

জেনারেল হাসপাতালের লেবার ইনচার্জ নিলুফা ইয়াসমীন, ওটি ইনচার্জ জুলেখা ও নার্স তিন্নি জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় হাসপাতালে লেবার ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাজেরা আক্তারের সিজার করেন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা: অমিত কুমার বসু। সিজারে পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সিজারিয়ান সেকশনে ব্লিডিং বন্ধ না হওয়ায় এবং ইউরিন পাস না হওয়ায় ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসক অমিত কুমার বসু তাকে দ্বিতীয়বার অস্ত্রপচার করেন। এরপরও ব্লিডিং বন্ধ ও ইউরিন পাস না হওয়ায় রাত দেড়টায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরে রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় রংপুরে তার মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনায় জেনারেল হাসপাতালে বিক্ষুব্ধ নার্সরা সকালে থেকে জড়ো হয়ে চিকিৎসক ডা: অমিত কুমার বসুকে অভিযুক্ত করে তার অপসারণ এবং নবজাতকের ভরণ পোষণের দাবিতে শ্লোগান দেয়। এসময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দফায় দফায় নার্সদের সঙ্গে বসে আলোচনা চালিয়ে যান। কিন্তু নার্সরা কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন চালিয়ে যায়। পরে দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিক্ষোভকারী নার্সদের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমঝোতা হওয়ায় কর্মবিরতী ও বিক্ষোভ তুলে নেয়া হয়।

এরপর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ও নার্সরা মৃত: হাজেরা আক্তাররের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলা শহরের কিসামত মালিবাড়ী এলাকার উদ্দেশ্যে গমন করেন। মৃত: হাজেরারর স্বামী আমিনুল ইসলাম কাস্টমস অফিসে কাজ করেন বলে জানা গেছে। এই নবজাতক তাদের সংসারে প্রথম সন্তান।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: আবু মো: জাকির উল ইসলাম এই প্রতিবেদককে জানান, নার্সদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ছিল। নবজাতকের ভরণ-পোষনের দায়িত্বটি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়াও উদ্ভূত ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তবে রংপুর মেডিকেল কলেজের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ অপারেশনে কোন ত্রুটি ছিল না বলে তারা জানিয়েছেন। এখন আমরা মরদেহ কবরস্থ করার জন্য গাইবান্ধায় যাচ্ছি।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি