ঢাকা, শনিবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

শ্রীমঙ্গলে কবুতরের দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:১২, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কবুতরের দৌড় প্রতিযোগিতার ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটে ৬৭ কিলোমিটার আকাশপথ পাড়ি দিয়ে প্রথম হয়েছে বড়লেখা পৌর এলাকার দেলোয়ার হেসেনের ৬টি কবুতর।

শনিবার বড়লেখা রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের আয়োজনে শ্রীমঙ্গল ভিক্টোরিয়া স্কুল মাঠে কবুতর দৌড় এর ফাইনাল রাউন্ডে বড়লেখার সৌখিন ৬ জন কবুতর পালক মোট ৫৫টি কবুতর নিয়ে অংশ নেন বলে জানান বড়লেখা রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের উপদেষ্টা মো বদরুল ইসলাম।

তিনি জানান, একাধিক রাউন্ড শেষে শনিবার অনুষ্ঠিত হয় তাদের ফাইনাল রাউন্ড। এতে অংশ নেন বড়লেখার গ্রামতলা এলাকার কামরুল ইসলাম যার প্রতিযোগী কবুতরের সংখ্যা ৫টি, বড়লেখা পৌরসভা এলাকার দেলোয়ার হোসেন যার প্রতিযোগী কবুতরের সংখ্যা ২৫টি, বড়লেখা পাখিয়ালা এলাকার মাসুম আহমদ যার প্রতিযোগী কবুতরের সংখ্যা ১০টি, বড়লেখা পৌরসভা এলাকার আব্দুল আহাদ যার প্রতিযোগী কবুতরের সংখ্যা ৫টি, বড়লেখার সুজানগর এলাকার ইউনুস আহমেদের ৫টি ও বড়লেখা পাখিয়ালা এলাকার মোনায়েম খান মুন্না‘র  প্রতিযোগী কবুতরের সংখ্যা ৫টি।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা মো. জাবেদ আহমদ, জাকির মোহাম্মদ ও মো বদরুল ইসলাম।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্র্রীমঙ্গল রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমেদ সবুজ, সাংগঠনিক আজহারুল ইসলাম অনিক প্রমুখ।

আয়োজক বড়লেখা রেসিং পিজিয়ন ক্লাবের সভাপতি কামরুল ইসলাম জানান, গত ২১ নভেম্বর মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলা থেকে এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রথম রাউন্ড কাঠালতলি থেকে ৫ কিলোমিটার, ২য় রাউন্ড হাতলিয়া থেকে ১০ কিলোমিটার ৩য়টি জুড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার, ৪র্থ বুয়াই বাজার থেকে ২০ কিলোমিটার, ৫ম উত্তর কুলাউড়া থেকে ২৫ কিলোমিটার, ৬ষ্ঠ ব্রাহ্মণবাজার থেকে ৩০ কিলোমিটার, ৭ম গত ১২ ডিসেম্বর কটার কোনা থেকে ৪০ কিলোমিটার, ৮ম গত ১৬ ডিসেম্বর কমলগঞ্জ থেকে ৫০ কিলোমিটার ও ৯ম ও ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয় শনিবার সকালে শ্রীমঙ্গল থেকে ৬৭ কিলোমিটার দুরত্বে।

বদরুল ইসলাম জানান, প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া ৫৫টির মধ্যে বিকালে পোনে ৫টা পর্যন্ত ৫১টি কবুতর প্রত্যেকের ডেরায় ফিরেছে। বিচারকরা প্রত্যেক কবুতরের পায়ে বেঁধে দেয়া গোপন কোড দেখে রাত ৮টার দিকে তা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এর আগে ভোর ৫টায় তারা কবুতর নিয়ে বড়লেখা থেকে শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশে রওয়ানা হন। সকাল ৮টায় শ্রীমঙ্গল পৌঁছালেও ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ১০টা ৫মিনিটে বিচারকরা তাদের গোপন কোড কবুতরের পায়ে বেঁধে খাঁচা খুলে দেন। প্রায় ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট পর সকাল ১১টা ১৫ মিনিটে দেলোয়ার হোসেনের ২৫টির মধ্যে ৬টি কবুতর তার বাড়িতে পৌঁছায়। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫১টি কবুতর পৌঁছায়।

আকাশ পথে ৬৭ কিলোমিটার হলেও সড়কপথে এর দূরত্ব প্রায় ৮২ কিলোমিটার। আর এই ৮২ কিলোমিটার দূরে নিয়ে এসে বাক্স বন্দি এসব কবুতর ছেড়ে দেওয়া হয় মুক্ত আকাশে। ছাড়া পেয়ে কবুতরগুলো দল বেধে ও দলের বাহিরে রওয়ানা দেয় বড়লেখার উদ্দেশে। সেখানে তাদের মালিকের লোক অপেক্ষায় আছে কখন কবুতরগুলো ফিরবে। যাদের কবুতরগুলো আগে পৌঁছাবে তারা কবুতরের পায়ে থাকা গোপন নাম্বার বিচারকদের জানাতে হবে। ১ ঘণ্ট ১০ মিনিট পর থেকেই বিচারকদের জানাতে শুরু করেন কবুতরের মালিকের সাহায্যকারীরা।

বিচারক মো. বদরুল ইসলাম আরও বলেন, তরুণরা যেন মাদক থেকে দূরে থাকে তাদের মধ্যে উৎসাহ ও আনন্দ জাগ্রত করতে মূলত এই প্রতিযোগিতায় আয়োজন।

এই প্রতিযোগিতা থেকে তরুণরা কবুতর পালনে উৎসাহিত হবে। এতে করে লেখাপড়ার পাশাপাশি তরুণরা কবুতর লালন-পালন করে সেগুলো বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। এসব কাজের সঙ্গে মিশে থাকলে মাদক থেকে তারা দূরে থাকবে বলে মনে করেন বিচারকরা।

এদিকে, এই প্রতিযোগিতার সময় ৯টি রাউন্ডে শত শত যুব সমাজ উপস্থিত ছিলেন। যা তাদের কবুতর পালনে উৎসাহ যুগিয়েছে।

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি