ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪

রাজশাহী সীমান্তে বিজিবির নিরাপত্তা জোরদার

রাজশাহী প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১৭:২১, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাবাহিনী বিএসএফের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে রাজশাহী সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি। রাজশাহীর পদ্মা নদীতে অনুপ্রবেশ করে পাঁচ জেলেকে বিএসএফের অপহরণ ঘটনার পর রাজশাহী সীমান্তে বাড়ানো হয় বিজিবির টহল। বিশেষ করে সোনাইকান্দি বিওপির অধীনে খোলাবোনা পয়েন্টে পদ্মার ওপারে টহল বাড়িয়েছে বিজিবি সদস্যরা। 

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিজিবির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা খোলাবোনা ও সোনাইকান্দি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এসময় বিজিবির-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বিজিবি ও বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের কথা রয়েছে। 

বিজিবি জানায়, গত ৩১ জানুয়ারি রাজশাহীর সোনাইকান্দি সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে পদ্মা নদী থেকে পাঁচ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বিএসএফ। এরপর রেওয়াজ অনুযায়ী পতাকা বৈঠক হলেও তাদের মুক্তি দেয়া হয়নি। বরং ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের অভিযোগ সাজিয়ে সে দেশের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে তাদের। এ ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দেয় বিজিবি। কিন্তু পাল্টা প্রতিবাদ চিঠি পাঠিয়ে ঘটনার স্থান অস্বীকার করে বিএসএফ দাবি করেছে আটককৃতরা জেলে নয়, গরুর রাখাল। অনুপ্রবেশ করায় তাদের আটক করা হয়েছে।

পদ্মা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন, রাজন হোসেন, নুরুজ্জামান দোয়েল, কাবিল হোসেন, শাহীন আলী ও শফিকুল ইসলাম। তাদের বাড়ি পবা উপজেলার গহমাবোনা এলাকায়। তারা সবাই এখন ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

বিজিবির ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ জানান, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বিজিবি ও বিএসএফের সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই বৈঠকে অনুপ্রবেশ, জেলেদের অপহরণ ও সীমান্ত রেখা নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা হবে। কারণ নদী হওয়ায় ওই এলাকায় সীমান্ত পিলার নেই।

লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বলেন, আমরা আমিন এনে সরেজমিনে মেপে দেখেছি, সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিএসএফ সদস্যরা পদ্মা নদী থেকে পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। কাজেই বিএসএফের অভিযোগ সত্য নয়। 

তিনি বলেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঢেকাতে রাজশাহীর খোলাবোনা ও সোনাইকান্দি বিওপির অধীনস্ত সীমান্তে সতর্কাবস্থায় রয়েছে বিজিবি সদস্যরা। এই দুইটি বিওপি ছাড়াও ব্যাটালিয়ন দপ্তর থেকে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য পাঠিয়ে টহল বাড়ানো হয়েছে।
কেআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি