ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

ধামইরহাটে খাস জমিতে খাল খনন, হুমকির মুখে গ্রামবাসী

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৯:৪৭, ২৪ এপ্রিল ২০২০

নওগাঁর ধামইরহাটে আত্রাই নদীর তীরবর্তী স্থানে বরিশষ্য চাষাবাদের জন্য সরকারী খাস জমি পত্তন নিয়ে স্থানীয় এক প্রবাবশালী ব্যাক্তি অ্ৈধভাবে দেদারছে মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে নদীর বাধঁ ধসে পড়ে ওই এলাকার রাঙ্গামাটি, ছিলিমপুর, নন্দনপুর, বস্তাবরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম বন্যায় তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী।

জানা গেছে উপজেলার চকনোটি মৌজার ছিলিমপুর গ্রামে পাশ দিয়ে বয়ে গেছে আত্রাই নদী। বিভিন্ন দুর্যোগ  আর প্রতিবছরের বন্যায় নদী ভাঙ্গনে অনেক পতিত জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। আবার প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ -বন্যায় নদীতে চরও জেগে উঠেছে। এমনিতেই ওই এলাকার রাঙ্গামাটি, ছিলিমপুর, নন্দনপুর, বস্তাবরসহ নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। 

এই অবস্থায় উপজেলার উদয়শ্রী বেড়ীতলা গ্রামের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন নদী সংলগ্ন জমি সরকারের কাছ থেকে লীজ নিয়ে ও কিছু পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ওই জমিতে ফসল চাষাবাদের পরিবর্তে ওই জমি থেকে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন। এছাড়াও নদীর পাড় এলাকার সরকারী খাস জমিতে স্থানীয় বন বিভাগের উদ্যোগে সুবিধা ভোগীদের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বৃক্ষরোপন করা হয়েছে। অবৈধভাবে এই বালি-মাটি উত্তোলন করায় বন্যার হওয়ার আশংকা প্রকাশ করছেন।

স্থানীয় ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা কাশেম আলী ও নন্দনপুর গ্রামের দইমদ্দিন মন্ডলসহ অনেক  গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, জামাল প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে বালি-মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। আমাদের নিষেধ সত্বেও তিনি কোন কথা কর্ণপাত করছেন না। তারা বলেন এভাবে বালু-মাটি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে  আসন্ন বর্ষাকালে নদীর ¯্রােতের পানি চাষাবাদের জমিতে প্রবেশ করে ব্যাপক ফসলের ক্ষতি ও নদীর পানিতে বাড়ীঘরের অপূরনীয় ক্ষতি হবে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেন।

উপজেলা বনবিট কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘পতিত ওই জমিতে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে গাছ রোপন করা হয়েছে, সেখানে উপকারভোগীরা তা পরিচর্যা ও দেখভাল করে, কিন্তু যেভাবে সেখানে গভীর গর্ত করে খনন কাজ চালাচ্ছে, তাতে মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বনবিভাগ ও ওই এলাকার সাধারণ মানুষ, বনবিভাগ এই বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

একই কায়দায় ছিলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মানিক হোসেনও একইভাবে নদী সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গা থেকে গভীর গর্ত করে মাটি-বালি খনন করে অবৈধ উপার্জন করছেন। 
এ বিষয়ে জামাল উদ্দিন বলেন, ‘জমিটি আমি পৈত্রিক সূত্রে পেয়েছি। সেই জমি চাষের উপযোগী করা হচ্ছে। সেখানে কোন মাঠি -বালু বিক্রি করা হচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরকে//    


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি