প্রতিষ্ঠার বাইশ বছরে রাবিপ্রবি
প্রকাশিত : ১০:০৯, ১৫ জুলাই ২০২৩
আজ রাবিপ্রবির ২২তম জন্মদিন। শিক্ষা, সম্প্রীতি, প্রগতি এই তিন মূলনীতির উপরে প্রতিষ্ঠিত হয়ে হাঁটি হাঁটি পা-পা করে বাইশতম বছরে পদার্পণ করেছে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি)।
বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী ২০০১ প্রতিষ্ঠিত হলেও শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হয় ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে। পথ চলার পর থেকেই ১৫ জুলাইকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে রাবিপ্রবি প্রশাসন।
প্রথম দিকে শাহ্ বহুমুখী বিদ্যালয়ের ২টি শ্রেণি কক্ষ ভাড়া করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হতো। নানা প্রতিবন্ধকতা পার করে কাপ্তাই লিংক রোডের ধার ঘেঁষে ঝগড়াবিল নামক স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় জন্য জমি অধিগ্রহণ করে স্থায়ী ক্যাম্পাসে মূল শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।
ভাড়া করা মাত্র ২টি শ্রেণিকক্ষের বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন এখন ৬৪ একর।
ভৌগোলিক অবস্থান থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সমতলে না হওয়ায় এখানকার পরিবেশ কিছুটা আলাদা। বর্তমান অবস্থায় আসতে লাল পাহাড়ের রাবিপ্রবিকে নানা বাঁধা বিপত্তি পার করতে হয়েছে। নানা সমস্যা পার করে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে মূল ক্যাম্পাসে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করেছিল রাবিপ্রবি।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫টি বিভাগের আওতায় ৮৪১ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জিং অবস্থার মাঝেও শিক্ষার আলো ও জ্ঞানের মশাল জ্বলে রাবিপ্রবি হেঁটে চলেছে আগামীর পথে। নানা চড়াই-উৎরাই পার করে রাবিপ্রবি পা দিয়েছে তার গৌরবের ২২তম বছরে।
যুগের সাথে তাল মিলিয়েই রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে তার নিজ কক্ষপথে। যেখানে গবেষণায় মনোযোগী একঝাঁক শিক্ষক ও শিক্ষার নুড়ি কুঁড়ানো শিক্ষার্থীদের আপ্রাণ প্রচেষ্টায় এই বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে আলোর দিকে, জানান দিচ্ছে নিজেদের অবস্থান।
সাদা মেঘের শুভ্রতা ও সবুজ পাহাড়ের লাল মাটির মেলবন্ধনে আবদ্ধ রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বছর জুড়ে আলাদা আমেজ লক্ষ্য করা যায়। সকল ধর্মের আলাদা রীতিনীতি,আচার অনুষ্ঠানসহ প্রতি বছরে বৈসাবির উৎসবে হারিয়ে যাওয়া অন্যতম একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শুধু সম্প্রীতিই নয় বরং সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে রাবিপ্রবি।
যুগোপযোগী সিদ্ধান্তে কাপ্তাই লেক পাড়ের ক্যাম্পাস একদিন নিজেকে তুলে ধরবে আপন চিত্রে, পৌঁছে যাবে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এমনটাই মনে করেন সাবেক ও বর্তমান রাবিপ্রবিয়ানরা।
এএইচ
আরও পড়ুন