ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ জুলাই ২০২৫

জাবিতে শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৩৯, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

শিক্ষকদের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচির কারণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।     

গত পাঁচদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিরোধী শিক্ষকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন বলে জানা গেছে। ওই বিভাগের সভাপতি ও উপাচার্য বিরোধী শিক্ষকদের দাবি বিভাগে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি শিক্ষকদের একাংশের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের কারণে তারা সেশনজটের আশঙ্কা করছেন।

জানা যায়, হাইকোর্টের নিদের্শনা অনুযায়ী গত ২৬ জুলাই হতে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক মনজুরুল হাসান। দায়িত্ব গ্রহণের পর এই পর্যন্ত বিভাগের একাডেমিক সভা ডাকা হয়নি।

শিক্ষা ছুটি শেষে কয়েকজন শিক্ষক বিভাগে যোগদান করেন। তাছাড়া ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষের সিলেবাস পুনঃযাচাই করতে হয়। একাডেমিক সভা না হওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে কোর্স বণ্টনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সান্ধ্যকালীন কোর্সের ফাইলে সভাপতি স্বাক্ষর না করায় ফাইলটি আটকে রয়েছে। এসব কারণে উপাচার্য বিরোধী শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের অঘোষিত কর্মসূচি পালন করছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আন্দোলনকারী এক অধ্যাপক জানান, ‘বিভাগীয় সভাপতি একাডেমিক সভার তারিখ ঘোষণা করলেই আমরা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যাবো।’

একাধিক শিক্ষার্থী জানান, ‘শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের রেষারেষির  কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা না করায় সময় মতো ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হবে।  

বিভাগের সভাপতি মনজুরুল হাসান বলেন, ‘বিভাগে ক্লাস পরীক্ষা যথারীতি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিভাগকে অস্থিতিশীল করতে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করেছে শিক্ষকদের একটি অংশ। এজন্য তারা ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া হতে বিরত থাকছে।এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে অতীতেও নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা না নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।’  

তিনি আরও বলেন, ‘এই বিভাগের বর্তমান একাডেমিক কমিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে। ওই কমিটি সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। সেখানে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ আমার নেই। আর সান্ধ্যকালীন কোর্সেও আর্থিক গড়মিলের অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট হাতে পেলে একাডেমিক কমিটির সভা ডাকবো।

কেআই/এসি  

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি