ঢাকা, সোমবার   ৩০ জুন ২০২৫

স্বপ্নবাজদের নিয়ে গড়া একটি পরিবার

উমর ফারুক, রাবি

প্রকাশিত : ২২:০৯, ১২ মার্চ ২০২০

Ekushey Television Ltd.

“পরিবার” কথাটির নাম শুনলেই বুঝি রক্তের বন্ধন কিন্তু কিছু-কিছু সম্পর্ক রক্তের বন্ধনকেও ছাপিয়ে যায় আত্মার বন্ধনে! যেনও মনের অগোচরেই একে অপরের আপন হয়ে যায় এক নিমিষেই। ছোট বেলা থেকেই মা-বাবার সানিধ্যে বড় হয়ে উঠা দূরন্ত ছেলে মেয়েরা আস্তে-আস্তে বড় হতে থাকে। স্কুল, কলেজের গন্ডি পেরিয়ে পরিবারের মায়া থেকে বেড়িয়ে মিশতে হয় ভিন্ন পরিবেশে। 

চেনা পরিবেশটাকে ফেলে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে নামক প্লাটর্ফমে পা রাখা হয় তখন  চারপাশটা কেমন যেনও নিসঙ্গতায় চেপে বসে। মনে একটু  প্রশান্তি  পেতে মরিয়া হয়ে ছুটে দিক- বেদিক। যখনই দেখা মেলে নিজ ক্যাম্পাসে পড়ুয়া পরিচিত মুখদের তখনই আনমনেই হেসে উঠে প্রাণ। সেই হাসির ও প্রশান্তির পেছনের গল্পটির বর্ণনায় উঠে আসে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়া “ফুলবাড়িয়া পরিবারের” কথা।

"ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, টিকে থাকুক আজীবন" এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চলতি বছরের শুরুতেই  "ফুলবাড়িয়া পরিবার" যাত্রা। অল্প সময়েই স্বপ্নবাজদের নিয়ে গড়ে তুলে পরিবারের বাহিরে আরো একটি পরিবার। সুখে কিংবা দুঃখে যেনও স্বপ্ন সারথির মত ছাঁয়া হয়ে থাকা স্বপ্নবাজদের পরিবার। সুসময়ে যেমন থাকে মমতার বন্ধন। অসময়েও কাছে আসে পরিবার সর্বপ্রথম। 

নতুন বছরের নতুন উদ্যমে ক্যাম্পাসে সিনিয়র ও জুনিয়রদের মাঝে যোগাযোগ ও সম্পর্কের মাত্রাকে আরো সুদৃঢ় করতে (৬ মার্চ) শুক্রবার সদ্য ভর্তি হওয়া নবীণদের বরণ ও বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করেছিলো ফুলবাড়িয়া পরিবার। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নামে খ্যাত ‘নারিকেলবাড়ীয়ায়’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিনের শুরুতেই ক্যাম্পাস থেকে পরিবারের সদস্যরা গাড়ীতে করে নারিকেলবাড়িয়া ক্যাম্পাসে পৌঁছে। শুরু হয় মজার একটি দিন। কেও রান্না নিয়ে ব্যস্ত আবার কেও হাসি আড্ডায়। কেওবা খেলছে ক্রিকেট। দেখে মনে হয়েছিলো সবাই যেনও একই পরিবারের সদস্য। জুম'আ নামাজের পর খাওয়া শেষে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন খেলাধুলার। তারমধ্যে বালিশ খেলা, হাড়ি ভাঙ্গা খেলা, ঝুঁড়িতে বল নিক্ষেপ ছিলো উপভোগ করার মত। সবাই অংশ নেয় এইসব ইভেন্টে। দিনশেষে সাংস্কৃতিক পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় স্মৃতিময় দিনটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে সবুজ- শ্যামল সমারোহে এমন আয়োজন সকলকে আনন্দিত করে তুলেছিলো। এই আনন্দকে কখনও লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবেনা। ঠিক তেমনি সকলেই কাঁধে -কাঁধ মিলিয়ে সুন্দর মানুষ হয়ে উঠবে এই অঙ্গীকার নিয়েই এগিয়ে যাবে ফুলবাড়িয়া পরিবারের স্বপ্নগুলো। দিনশেষে পরিবারটি সকলকে মায়ার বাঁধনে আগলে রাখবে এমন গল্পটাই কাম্য।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি