ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

‘বিসিএসে সফল হওয়ার চাই নিষ্ঠা-একাগ্রতা’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:০৯, ১৯ জুলাই ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

হাসিবুর রহমান এমিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম ব্যাচের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন। মানিকগঞ্জের কাকুরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মো. রওশন আহমেদ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। মাতা মোছা. আন্নী আহমেদ গৃহিণী। বিসিএসের মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় দ্বিতীয় হওয়ার পেছনের কথা তুলে ধরা হলো একুশে টেলিভিশন অনলাইনে।

তিনি খাবাশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। তারপর খাবাশপুর প্রভা উচ্চবিদ্যালয় থেকেও ৮ম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান। একই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পান। এই ধারা অব্যাহত রেখে দেবেন্দ্র কলেজ এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান। তিনি জগন্নাথ বিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকে সিজিপিএ-৩.৯৬ ও স্নাতকোত্তরে সিজিপিএ-৩.৭৬ পেয়েছেন।

তিনি পরিবার, শিক্ষক-শিক্ষিতা ও বন্ধুবান্ধবদের অনুপ্রেরণায় বিসিএস পরীক্ষার ভালো করতে পেরেছেন বলে জানান। তিনি বিভিন্ন বই, সাহিত্যের বই পড়তেন। তিনি নিয়মিত টক শো, নিউজ দেখতেন। বিভিন্ন সভা সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে যেতেন। এছাড়া প্রচুর দেশি-বিদেশের খবর রাখতেন, সিলেবাস এবং সিলেবাসের বাইরের প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছু পড়ে নিজেকে বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করেছেন বলে জানান। তাছাড়া সিনেমা দেখতেন, গান শুনতেন নিয়মিত মঞ্চনাটক দেখতে শিল্পকলা একাডেমিতে যেতেন যা প্রস্তুতিতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখেছে বলে তিনি জানান।

তিনি বিসিএস নিয়ে ভাবনা শুরু করেন অনার্সের পর থেকে।মাস্টার্স করার সময় থেকেই মূলত প্রস্তুতি শুরু করেন। তিনি আলাদাভাবে বিসিএস পড়ার জন্য খুব বেশি সময় পেতেন না। মাইক্রোবায়োলজির মতো বিষয়ে পড়ে অন্য দিকে মনোযোগ দেওয়া কষ্টকর। তার রেজাল্ট বরাবরই ভালো ছিল, তাই একাডেমিক পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। তাছাড়া আইসিডিডিআরবিতে থিসিস করার কারণে সময় পেতেন না। এর ফাকে ফাকে পড়ে নিতেন। তবে তার ছোটবেলা থেকেই নানা ধরনের বই, ম্যাগাজিন পড়ার অভ্যাস ছিল। তার জীবনাচরণই হয়তো তাকে সবচেয়ে বেশি প্রস্তুত করেছেন বিসিএস এর জন্য। তবে তিনি নিয়মিত পড়াশোনা করতেন।

তার প্রশাসন ক্যাডারে যাওয়ার পেছনে জবির ভূমিকাও রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, এটা একটা অসাধারণ প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে বিভাগের শিক্ষকগণের ভূমিকা, অনুপ্রেরণা অসাধারণ। আলাদা করে বললে, বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শামীমা বেগম ম্যাডামের কথা বলা যায়।

তিনি আরও মনে করেন, বিসিএসে সফলতার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার ধৈর্যশীল হওয়া। এছাড়া নিষ্ঠা, একাগ্রতা এবং বড় হওয়ার স্বপ্ন খুবই জরুরি।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি