ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

সেশন জট কাটাতে বিকল্প রোডম্যাপে ঢাবি (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৩, ২৬ জানুয়ারি ২০২১

সেশন জটের আশঙ্কায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। করোনা মহামারি ইতিমধ্যে তাদের জীবন থেকে কেড়ে নিয়েছে একটি বছর। বন্ধ ঘোষণার বেশ কিছুদিন পর অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও এখনও সব অনুষদের পরীক্ষা নেয়া যায়নি। সেশন জট কাটাতে বিকল্প রোডম্যাপ নিয়ে ভাবছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

মহামারির অশুভ ছায়ায় ক্যাম্পাসে নিদারুণ শূন্যতা। সংক্রমণ শুরুর পর পরই বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়। সেই থেকে হলগুলোও খালি পড়ে আছে। 

বেশ কয়েকমাস পর অনলাইন ক্লাস শুরু হলেও পরীক্ষা নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি অনুষদের ৮৩টি বিভাগ। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি স্নাতক শেষবর্ষ ও স্নাতোকোত্তরের পরীক্ষা সম্পন্নের সিদ্ধান্ত থাকলেও সম্পন্ন হয়েছে শুধুমাত্র বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষা। এক্ষেত্রেও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস, সীমিত আসনসহ ছিলো নানা সীমাবদ্ধতা। 

পরীক্ষার অপেক্ষায় বাকী ১২টি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

ঢাবি শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারি অফিস যে সার্কুলারগুলো দিচ্ছে এবং দিবে সেগুলোতে অ্যাপ্লাই করতে পারবো না। যেহেতু ফাইনালের সার্টিফিকেট অথবা পরীক্ষার সনদ লাগবে। আমাদের সেশন জটটা রয়েই যাচ্ছে, শেষ হলেও ফাইনাল ইয়ার অনুযায়ী যেভাবে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারতাম, সেগুলো করতে পারছি না।

সেশন জটের আশংকায় আছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদেরকে একপ্রকাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয় বলছে একরকম, ডিপার্টমেন্ট যাচ্ছে একেক ভাবে। ফলে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে, আমাদের ভবিষ্যতের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ অনেক দিন ধরেই পিছিয়ে পড়ছি সবকিছুতে।

অনলাইন ক্লাস শতভাগ ফলপ্রসূ হয়নি উল্লেখ করে সশরীরি উপস্থিতি ছাড়া পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, অনলাইনে যেসব ক্লাস বা পড়াশুনা করার চেষ্টা করা হচ্ছে সেটা কিন্তু সাকসেসফুল নয়। প্রায় ৫০ ভাগ ছেলেমেয়ে এটার সঙ্গে কানেক্টিংই হচ্ছে না। তাদের শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া এটা করা সম্ভব নয়।

ভর্তি পরীক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণে সময়ের ব্যবধান রাখার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে কর্তৃপক্ষ। 

ঢাবির প্রো-ভিসি (প্রশাসন) আরও বলেন, যারা ভর্তি হয়েছে তাদের কিন্তু সেভাবে ক্লাস হয়নি। সুতরাং তাদেরকে এবং এখন নতুন ভর্তিদের- এই দুটি ব্যাচকে একটা ব্যবধান তৈরি করে ছুটির দিনগুলোতে বা বেশি ক্লাস নিয়ে অ্যাটজাস্ট করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।

বৃহত্তর কল্যাণে ঘাটতির বছরটি সমন্বয়ের তাগিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, সমন্বয়ের মধ্য আমাদের সকলকে এগিয়ে যেতে হবে।
ভিডিও :

এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি