ঢাকা, বুধবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৫

মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে হাবিপ্রবি শিক্ষকের অবস্থান কর্মসূচি

প্রকাশিত : ১৯:৪১, ১৯ নভেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ৬১ জন শিক্ষক মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে বেতন বৈষম্য নিরসন ও শিক্ষক লাঞ্চনাকারীদের শাস্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ।

কর্মসূচির তৃতীয় কর্মদিবস সোমবার সকাল থেকে শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মাথায় সাদা কাফনের কাপড় বেঁধে শিক্ষক লাঞ্চিতকারী,নারী শিক্ষক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানিকারী প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও রেজিস্টারের বহিষ্কার পূর্বক পদোন্নতি প্রাপ্ত নতুন শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উক্ত শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একই প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষকেরা জানান, গত ১১ অক্টোবর রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তাদের সহকারি অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হলেও পদ অনুযায়ী বর্ধিত বেতন দেওয়া হচ্ছে না। এই বেতন বৈষম্য নিরসনের আলোচনা করতে গত বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হাওলাদারের কক্ষে প্রবেশ করেন ৬১ জন শিক্ষক। আলোচনা চলাকালীন সময়ে প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে কতিপয় ব্যক্তি সদ্য পদন্নোতি প্রাপ্ত শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় এবং সে সময় আমাদের নারী শিক্ষকদেরকে শ্লীলতাহানির মুখে পড়তে হয়েছে। এই ঘটনার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যৌক্তিক দাবিসমূহের প্রতি কর্ণপাত না করে উল্টো বিশ্ববিদ্যালয়কে সংকটের মুখে ঠেলে দিচ্ছে ।

আন্দোলনরত শিক্ষকদের নেতৃত্বদানকারী সহকারি অধ্যাপক কৃষ্ণ চন্দ্র রায় জানান, যাদের মদদপুষ্ট হয়ে তাদের উপর হামলা হয়েছে তাদের অবশ্যই বিচার হওয়া প্রয়োজন এটা শিক্ষকদের দাবি। ন্যায্য বেতন পাওয়া শিক্ষকদের অধিকার। সম্মান সম্মুন্নত রাখতে প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা  দাবি আদায় করা হবে। এ জন্য প্রয়োজন হলে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জানান,তারা আমার উপর অভিযোগ এনেছে তা সত্য নয়। কাউকে কোন উস্কানি দেওয়া হয়নি। আমার কোন ছাত্র তাদের সাথে কোন অসৌজন্যমুলক আচরণ করেনি। তাদের কাছে যদি ভিজিবল ডকুমেন্ট থেকে থাকে তা আমাদের দেখাতে পারে ।তাদের অভিযোগ একবারেই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ।

এদিকে ৬১ শিক্ষকের আন্দোলনের ব্যাপারে হাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. সফিউল আলম জানান, সহকারি অধ্যাপকদের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নিয়ম মোতাবেক বেতন প্রদান করা হচ্ছে। নিয়মের মধ্যে থাকলে তাঁরা অবশ্যই সেটা পেত আর এর জন্য তাদের আন্দোলনের কোন প্রয়োজন ছিলনা। আমাদের নিয়মের মধ্যে সেটি না থাকায় আমরা তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ইউজিসি’র কাছে চিঠি দিয়েছি।

আশাকরি, খুব দ্রত একটা রেজাল্ট পাবো। এরপর সে অনুযায়ী কাজ করা হবে। শিক্ষকদের উপর হামলার ব্যাপারে তিনি জানান, সহকারি অধ্যাপকদের উপর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তথাপি তাঁরা যেহেতু অভিযোগ এনেছেন তার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে।তদন্তের প্রেক্ষিতে যা হবে তাই করা হবে ।

কেআই/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি