ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

হানি সিং-শালিনীর ডিভোর্স!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৯, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

সমসাময়িক সময়ে র‍্যাপ সংগীতের জনপ্রিয় মুখ হানি সিং। এবার তার নাম শিরোনাম হলো দাম্পত্য জীবনে ভাঙনের দায়ে। জানা গেছে, ভেঙে গেছে হানি সিং-এর ১০ বছরের দাম্পত্য জীবন। ঝামেলা গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত।

অবশেষে ৮ সেপ্টেম্বর পথ আলাদা হল তাদের। দিল্লির সাকেত পারিবারিক আদালতে তাদের বিচ্ছেদ হয়।

২০২১ সালে হানি সিং-এর নামে যৌন হেনস্থা, মানসিক নির্যাতন ও আর্থিক নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন হানির তৎকালীন বউ শালিনী তলওয়ার। ২০ কোটি ক্ষতিপূরণও চেয়েছিলেন। চলতি সপ্তাহে দিল্লির পারিবারিক আদালতে হল বিচ্ছেদ। আর এ জন্য ১ কোটি দিতে হল খোরপোষ গায়ককে। 

গত বছরই এই পঞ্জাবি গায়কের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন স্ত্রী শালিনী তলওয়ার। যৌন হেনস্থা, মানসিক নির্যাতন, ও আর্থিক নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেন হানি সিং-এর বউ। শালিনী এবং হানি সিংয়ের সম্পর্ক ১০ বছরের। ২০১১ সালে তারা শিখ রীতি অনুযায়ী দিল্লির ফার্ম হাউজে তারা বিয়ে করেন। ২০১৪ সালে প্রথমবার রিয়ালিটি শো রকস্টার এর একটি পর্বে দর্শকদের সঙ্গে স্ত্রী শালিনী তলওয়ারের পরিচয় করিয়ে দেন হানি সিং। তার আগে হানি সিং যে বিবাহিত তা জানা ছিল না অনেকেরই।

এ প্রসঙ্গে শালিনী জানিয়েছিলেন, তাদের হানিমুনের সময় থেকেই হানি তার গায়ে হাত তোলা শুরু করেন। সঙ্গে বরের মদের নেশা, একাধিক নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেন শালিনী। 

প্রথমদিকে চুপ থাকলেও পরে মুখ খোলেন হানি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতি দিয়ে লেখেন, আমার বিরুদ্ধে এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে আমার সঙ্গিনী তথা স্ত্রী শালিনী তলওয়ার মিথ্যে অভিযোগ আনায় আমি ব্যথিত। এতদিন নিজের গান নিয়ে সমালোচনা, স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব, নেতিবাচক মিডিয়া কভারেজ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলিনি। তবে এবারে মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ এবার আমার বৃদ্ধ বাবা-মা ও ছোট বোনকে আক্রমণ করা হচ্ছে। তারা কঠিন সময় আমার পাশে ছিলেন। অভিযোগগুলি নিন্দনীয় এবং অসম্মানজনক।

জানা যাচ্ছে, হানি আর শালিনীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে। তখনই পরবর্তী পদক্ষেপ নির্দিষ্ট করা হবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আরএমএ/ এসএ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি