ঢাকা, শুক্রবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বেকার অনিল কাপূরের খরচ চালাতেন স্ত্রী সুনীতা!

প্রকাশিত : ১২:১০, ৯ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১২:১১, ৯ এপ্রিল ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

বলিউডে অন্যতম লাজুক দম্পত্তি হচ্ছে অনিল কাপূর এবং তার স্ত্রী সুনীতা কাপূর। ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের প্রেমের গল্প নিয়ে এখনও আলোচনা চলে। তাদের প্রেম কিভাবে হয়েছিল? জেনে নেওয়া যাক।

অনিলের সঙ্গে বন্ধুদের মাধ্যমেই আলাপ হয়েছিল সুনীতার। সুনীতা তখন অন্যতম সেরা মডেল, দারুণ কাজ করছেন। অনিল ইন্ডাস্ট্রিতে তখন কাজ করার চেষ্টা করছেন। বন্ধুর থেকেই ফোন নম্বর নিলেন সুনীতার। আর তার পর শুরু হল কথা।

১৯৮০ সালের কথা। মাত্র কয়েক সপ্তাহ কথা হয়েছে দু’জনের। এ বার দু’জনকে একা দেখা করতেই হবে। গলা শুনেই সুনীতার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন, লাজুক অনিল প্রীতি জিন্টাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এমনটাই। বলেছেন, “ওঁর সম্পর্কে বলতে ভাল লাগে, আবার লজ্জাও করে।”

বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। অনিল বাসে যাতায়াত করতেন, ট্যাক্সিতে এলে ভাড়া মেটাতেন সুনীতা। প্রচুর উপহারও দিতেন। কখনও বা হাত খরচও দিতেন। বরং ইন্ডাস্ট্রিতে স্ট্রাগল করা উঠতি নায়ক খুব একটা কিছু দিতে পারতেন না সুনীতাকে, অনিল জানিয়েছেন এমনটাই।

এরকম দিন গিয়েছে, যখন সুনীতাই অনিলের ট্যাক্সি ভাড়া দিয়েছেন, খরচ চালাতে সাহায্য করেছেন, কারণ বাড়ির থেকে কোনও সাহায্য নিতে চাইতেন না অনিল।

অনিল কাজ না পেয়ে মন খারাপ করে থাকতেন। তার পাশে থাকতে প্রচুর কাজ ছেড়েছেন সুনীতা, শুটিংও বাতিল করেছেন। সুনীতার বাবা ছিলেন ব্যাঙ্কের বড় অফিসার।

সুনীতা ২৫ দিনের জন্য বিদেশে যাচ্ছিলেন মডেলিংয়ের কাজে। বিমানবন্দরে সুনীতাকে ছেড়ে আসতে গিয়ে ক্লান্ত অনিল নাকি তার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, জানান সুনীতা।

বলিউডে বেশ কিছু পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের পর ১৯৮৩ সালে ‘উও সাত দিন’ ছবিতে স্পটলাইটে আসেন অনিল। সুনীতাকে বিয়ে করতে চান। কিন্তু সুনীতার পরিবারের আপত্তি ছিল। ১৯৮৪ সালের ‘মশাল’ ছবি রাতারাতি অনিলকে সেনসেশন বানিয়ে দেয়।

অনেক কষ্টে সুনীতার বাড়ি থেকে রাজি হওয়ার পর দু’বার বিয়ের তারিখ পিছিয়ে দেন অনিল। অনিলের কথায়, “তখন অনেক ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ বলেছিলেন বিয়ে করলে কেরিয়ার নষ্ট হবে।” কিন্তু লেডি লাককে রোজই দেখতে চাইতেন তিনি।

পাঁচ বছর সম্পর্কের পর ১৯৮৪ সালের ১৯ মে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তারা। বিয়ের পর থেকেই অনিলের স্টাইলিং ঠিক করা, পোশাক ডিজাইন করা সবটাই করতেন সুনীতা।

মাধুরী দীক্ষিত ও শিল্পা শিরোদকরের সঙ্গে অনিলের সম্পর্ক ছিল, এমনটাও রটেছিল এক সময়ে। তখন স্ত্রী সুনীতা পাত্তা দেননি। আর অনিল বলেছিলেন, “দু মিনিটের ভাল লাগা না সারা জীবনের জন্য আনন্দে থাকা, কোনটা বেছে নেবে মানুষ? সুনীতাকেই আমি ভালবাসি।’’

অনিল ও সুনীতার মেয়ে সোনম ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠিত নায়িকা। তার ভাই রিয়া, হর্ষবর্ধনকেও সুনীতা ও অনিল সুন্দর করে মানুষ করে তুলেছেন। বর্তমান দুনিয়ায় যখন সম্পর্কের বাঁধন আলগা হয়ে পড়েছে, বাবা-মায়ের ভালবাসাই উদাহরণ, জানান সোনম।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি