পর্দা উঠেছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্টের
প্রকাশিত : ০৮:২৭, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

পর্দা উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার লোকসংগীতের সবচেয়ে বড় আসর ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোকফেস্টের ২০১৯।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে দেশের নৃত্যদল ‘প্রেমা ও ভাবনা’র মনোমুগ্ধকর পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আসরের সূচনা ঘটে।
এরপরই মঞ্চে আসে জর্জিয়ার শেভেনেবুরেবি। এক ঘণ্টারও বেশি সময় নানা ধরনের লোকযন্ত্র বাজিয়ে ভিন্নধর্মী সঙ্গীতায়োজন করে ঢাকার দর্শকদের সুরের মায়াজালে ভাসায় এ দলটি।
রাত ৯টায় শুরু হয় ফোকফেস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। শুরুতেই বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনের সদ্যপ্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দী, বারী সিদ্দিকী, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।
এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক সান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, লোকগান প্রাণের গান। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছি লোকগানের সুর।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা সঙ্গীতচর্চা করে তারা পরিশীলিত মনের মানুষ। যারা সঙ্গীতচর্চা করে, সংস্কৃতিচর্চা করে তারা কখনো বিপদগামী হয় না।’
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতার পর মঞ্চে আসেন বাংলাদেশের বাউলশিল্পী শাহ আলম সরকার। রাত সাড়ে ৯টায় দর্শকদের গান শোনাতে শুরু করেন শাহ আলম সরকার। প্রথমেই অসাম্প্রদায়িক বাংলার বার্তা ছড়ান গানে গানে। গেয়ে উঠলেন ‘কী দরকার হিন্দু-মুসলমান’; এরপর গাইলেন ‘বিয়ে করা মানে জ্যান্ত প্রাণে মরা’, ‘এত যে নিঠুর বন্ধু জানা ছিল না’, ‘পিরিত যতন পিরিত যতন’, ‘আমি তো মরে যাব, চলে যাব, রেখে যাব সবই’।
একের পর এক গান গেয়ে দর্শকদের হৃদয়ে ঝড় তোলেন তিনি। এরপর মঞ্চে হাজির হন ভারতীয় পপব্যক্তিত্ব দালের মেহেন্দী। ফোকফেস্টের প্রথম দিনের প্রধান চমক ছিলেন তিনি।
প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয়ে উৎসব চলবে রাত ১২টা পর্যন্ত। বাংলাদেশসহ ছয় দেশের দুই শতাধিক শিল্পী অংশ নিচ্ছে এবারের উৎসবে।
এসএ/