ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

শিল্পকলায় আজ ‘ঘুমকুমারী’

প্রকাশিত : ১১:১৮, ১০ মে ২০১৯

প্রজাদের অধিকার নিয়ে রাজপুত্র রূপকুমারের সঙ্গে রাজা মেঘশাহের বিরোধ। যে কারণে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয় রূপকুমার। মায়ের সহায়তায় বন্দি রূপকুমার মুক্তি পাওয়ার পর জন্ম নিতে থাকে নতুন ঘটনা। আর সেই ঘটনা দেখতে হলে যেতে হবে শিল্পকলা একডেমিতে।

আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ব বিভাগের ‘ঘুমকুমারী’। এটি তাদের প্রথমবর্ষের প্রযোজনা।

‘দ্য স্পিপিং বিউটি’ গল্পের ছায়া অবলম্বনে নাটকটি রচনা করেছেন আফসার আহমদ। আর নির্দেশনা দিয়েছেন রুবাইয়াৎ আহমেদ। এতে অভিনয় করবেন তামিম হোসেন, নাহিদ আল মবিন, আকাশ তুহিন, শচীন ভট্টাচার্য, রেজওয়ান রাশেদ সোয়ান, আরিফুল ইসলাম নীল, শরণ এহসান, রিফা রাফিয়া, সাবরীন শ্রাবণী, বন্যা রায়, শাকিল আহমেদ, মৌশ্রী দাস নিশু, আসমাউল হুসনা বৃষ্টিসহ আরও অনেকে।

বলা বাহুল্য, নাটকটি সম্পূর্ণরূপে পাশ্চাত্য আঙ্গিক থেকে সরে সমহিমায় প্রকাশ পেয়েছে নাট্যকারের স্পর্শে! কাহিনির আবর্তে গল্পে এসেছে বিভিন্ন সংযোজন এবং বিয়োজন।

গল্পে আরও দেখা যাবে- রাজপুত্র মাতৃ আদেশ পালনে রাজ্য ছাড়ে। তবে তার মন পড়ে থাকে বঙ্গদেশে, সেখানে এক কৃষকের কন্যা মালঞ্চ রাজপুতের অপেক্ষায় থাকে। রূপকুমার একরাজ্য থেকে অন্যরাজ্যে, এক দেশ থেকে অন্যদেশে উদ্দেশহীনভাবে ঘুরতে থাকে। অতঃপর এসে পৌঁছে কাঞ্চনপুর রাজ্যে, সেখানে কালো বৃদ্ধ পরী কোবের অভিশাপে ঘুমন্ত পুরো রাজপ্রাসাদ।

অভিশপ্ত রাজ্যের কাহিনি এক ফকির রাজপুত্রকে জানায়, ‘কাঞ্চনরাজ ছিল নিঃসন্তান। এক সন্ন্যাসীর থেকে কুকাফ শহরের পাকা আম প্রাপ্ত হয়ে রাজা কন্যা সন্তানের জনক হয়। রাজ্যে নামে আনন্দের বন্যা। তবে তা ছিল ক্ষণস্থায়ী, সেই উৎসবে সবার নিমন্ত্রণ হলেও ভুলক্রমে বাদ পড়ে শয়তান পরী কোবে। সে অভিশাপ দেয়, ষোড়শী হলেই রাজকন্যার হাত কাটবে সুতো কাটার চড়কায়; রাজা-রানি হতবিহব্বল হলে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন, তবে সাদা পরী শয়তানের অভিশাপ লাঘব করে বর দিলো যে তার মৃত্যুর পরিবর্তে রাজকন্যা একশো বছরের গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন হবে আর তার সঙ্গে ঘুমন্ত থাকবে গোটা রাজপ্রাসাদ।’

এসএ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি