ঢাকা, শনিবার   ১০ মে ২০২৫

বিদায়ের আগে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ট্রাম্পের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩২, ১৪ জানুয়ারি ২০২১

Ekushey Television Ltd.

আমেরিকার মসনদ ছাড়ার আগে ইরানের বিরুদ্ধে যে বড় কোন পদক্ষেপ নিবেন ট্রাম্প, তা আগেই ধারণা করা হয়েছিল। কেননা, ট্রাম্পের শাসনামলে তেহরানের সঙ্গে উত্তেজনা ছিল চরমে। বিশেষ করে কাসেম সোলায়মানি হত্যার পর ইরানের হুমকিতে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছিল দুই দেশ। 

অন্যদিকে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে তেহরানের ওপর কম নিষেধাজ্ঞা দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সবশেষ ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ অস্ত্র হামলায় নিহতের পর হুমকি-পাল্টা হুমকিতে বছর শেষ করে তারা। এরপর থেকে ট্রাম্পের ওপর নাখোশ তেহরান। 

ফলে মার্কিন নির্বাচনের আগে ও পরে ট্রাম্পের সমালোচনা করে বিভিন্ন সময় বক্তব্য দিয়ে আসছিল ইসলামী প্রজাতান্ত্রিক দেশটি। এসব কিছু বিবেচনা করে আগেই স্পষ্ট হয়েছিল বিদায়ের আগ মুহূর্তে ইরানকে বড় ধাক্কা দিতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন। হলোও তাই। 

ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক দেশটির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। স্থানীয় সময় বুধবার (১৩ জানুয়ারি)  ইরানের দুটি ফাউন্ডেশন এবং তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মার্কিন প্রশাসন দাবি করছে, ‘এই দুটি প্রতিষ্ঠান ইরানের অর্থনীতির বৃহৎ অংশের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।’

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের যে দুটি ফাউন্ডেশনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তার একটি হচ্ছে- ইসলামি বিপ্লবের মহান নেতা ইমাম খোমেনীর নির্দেশ বাস্তবায়নকারী সংস্থা এবং অন্যটি হচ্ছে আস্তান কুদস রাজাভি। এই সংস্থাটি ইমাম রেজা (আ.)’র মাযার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে থাকে। ইমাম রেজা হচ্ছেন শিয়া মুসলমানদের অষ্টম ইমাম।    

নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন ফাউন্ডেশন দুটির নেতারা এবং তাদের সহযোগীরা। এছাড়া, তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে এবং যারা এইসব ফাউন্ডেশনের সঙ্গে লেনদেন করবে তাদের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
এআই/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি