ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪

বেলারুশ নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউক্রেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৪৮, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।

বেলারুশ থেকে রাশিয়া নতুন করে স্থলাভিযান শুরু করতে পারে এই আশংকায় সীমান্তে প্রতিরক্ষা জোরদার করছে ইউক্রেন।  

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ইয়েভেন ইয়েনিন বলেছেন, বেলারুশ সীমান্তে সেনা এবং অস্ত্র মোতায়েন জোরদার করা হচ্ছে।

বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সাথে বৈঠকের জন্য সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মিনস্ক সফরের পরপরই ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সীমান্তে প্রতিরক্ষা জোরদার করার কথা জানানো হয়।

বেলারুশের সাথে রাশিয়া এবং ইউক্রেনে উভয় দেশেরই সীমান্ত রয়েছে। 

জানা গেছে, পুতিনও ইউক্রেন সীমান্তে এবং সীমান্তবর্তী রুশ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

পুতিন বলেছেন, রুশ সীমান্ত লঙ্ঘনের কোনও চেষ্টা দ্রুত বানচাল করতে হবে। সেই সাথে, তিনি বলেন, “বিশ্বাসঘাতক এবং নাশকতাকারীদের” খুঁজে বের করতে হবে।

পাশাপাশি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেলারুশে মোতায়েন রুশ সৈন্যরা বেলারুশ সৈন্যদের সাথে একটি যৌথ মহড়া করবে।

এই সিদ্ধান্ত এবং পুতিনের বেলারুশ সফরের প্রতিক্রিয়ায় ইয়েনিন বলেন, “রাশিয়া এবং বেলারুশের সাথে সীমান্ত জুড়ে আমরা প্রতিরক্ষা বুহ্য গড়ে তুলছি।“

বেলারুশ যদিও সরাসরি যুদ্ধে যোগ দেয়নি তবে ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জন্য তারা রুশ সৈন্যদের নিজেদের ভূমি ব্যবহার করতে দেয়। 

যুদ্ধের ঠিক আগে বেলারুশে দুই দেশের সৈন্যরা একটি যৌথ মহড়াও চালিয়েছিল। হালে নতুন করে সন্দেহ তৈরি হচ্ছেে যে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতি সমর্থন আরও বাড়াতে বেলারুশের ওপর চাপ দিচ্ছে মস্কো।

সাড়ে তিন বছর পর প্রথমবারের মত পুতিনের বেলারুশ সফরে যাওয়ায় এই ধারণা জোরদার হয়েছে।

তবে এ ধরণের খবরের সত্যতা নাকচ করে দিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি বলেন, এই খবর “ভিত্তিহীন এবং মনগড়া।“

মস্কোতে বিবিসির সংবাদদাতা স্টিভেন রোজেনবার্গ বলছেন, মিনস্কে ঘণ্টা তিনেক ধরে বৈঠকের পর দুই নেতা যে সংবাদ সম্মেলন করেন তাতে একবারও ইউক্রেনের নাম উচ্চারিত হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে দুই নেতা বাণিজ্য, অর্থনীতি এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়।

পুতিন ইঙ্গিত দেন, বেলারুশের কিছু যুদ্ধ বিমানকে পারমানবিক ক্ষোপণাস্ত্র বহনে সক্ষম করা হচ্ছে, এবং এ ব্যাপারে রুশ বিশেষজ্ঞরা বেলারুশের বিমান ক্রুদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

তার দেশকে অত্যাধুনিক এস-ফোর হানড্রেড বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ইস্কান্দার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের জন্য লুকাশেঙ্কো পুতিনকে ধন্যবাদ দেন।

তবে স্টিভেন রোজেনবার্গ বলছেন, বেলারুশে পুতিনের এই সফর যুদ্ধের একটি কৌশলও হতে পারে। কারণ রাশিয়া হয়তো মনে করছে এই সফরের পর বেলারুশ থেকে নতুন করে আরেকটি স্থলাভিযানের আশঙ্কায় ইউক্রেন হয়তো উত্তরের রণাঙ্গন থেকে তাদের অনেক সৈন্য বেলারুশ সীমান্তে নিয়ে আসবে।

এই চাপ যে তৈরি হয়েছে তার ইঙ্গিত ইউক্রেন সরকারের বক্তব্য বিবৃতিতেও পাওয়া যাচ্ছে।

এখন পর্যন্ত বেলারুশের নেতা লুকাশেঙ্কো সরাসরি এই যুদ্ধে যোগ দেননি। এই অবস্থান তিনি ধরে রাখতে পারবেন কিনা সেদিকে এখন সবার নজর। সূত্র: বিবিসি

এসি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি