ঢাকা, সোমবার   ১৪ জুলাই ২০২৫

চীন নীতিতে কঠোর হচ্ছে জার্মানি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩১, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ১২:৩২, ২৭ জানুয়ারি ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

বাণিজ্য ও প্রযুক্তিসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নিজেদের চীন সম্পর্কিত নীতি কঠোর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে জার্মানি। বেইজিংয়ের প্রতি ইউরোপীয় শক্তিগুলোর পদক্ষেপকে আরও কঠোর করার অংশ হিসেবে এই প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি।  

কয়েক মাসের মধ্যে জার্মানি নতুন চীন নীতি ঘোষণা করবে। বার্লিন এখন শেষবারের মতো খসড়া নীতির কাটছাট করছে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন নীতিতে সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের চীনকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্ব দেওয়ার মনোভাব ছেটে ফেলা হচ্ছে।

এশিয়ান নীতি প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জ্যেষ্ঠ এক জার্মান কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়াকে বলেছেন, নতুন নীতির পুরোটা জুড়েই কঠোর কিছু মনোভাব থাকবে। খসড়াটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। সামনে গ্রীষ্মের শুরুর পর পরই মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে এই পরিকল্পনা অনুমোদন করবে। 

নতুন খসড়া নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কঠোর নীতির মধ্যে চীনে বিনিয়োগ সীমিত করা এবং জার্মান কোম্পানিগুলোর ওপর সরকারি নজরদারি সীমিত করা—যেগুলো ব্যবসার জন্য চীনের উপর খুব বেশি নির্ভর করে। মোদ্দকথা, ওই নীতিতে ধীরে ধীরে, কিন্তু নিশ্চিতভাবে জার্মান ব্যবসা ক্ষেত্র থেকে চীনের উপস্থিতি কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। 

এ ছাড়া দ্বৈত-ব্যবহারের প্রযুক্তি যাতে চীনের হাতে না যায় সে ব্যবস্থাও করা হবে। এমনকি একাডেমিক পর্যায়ে চীনের সঙ্গে বিনিময়ও সীমাবদ্ধ করা হতে পারে বলে কর্মকর্তারা বলছেন।

চূড়ান্ত পর্যায়ে নীতিগুলো হয়তো আরও মডারেট হতে পারে। কারণ কট্টরপন্থি পরিবেশবাদী জার্মান রাজনৈতিক দল গ্রিন পার্টি ও মধ্য বামপন্থি সোস্যাল ডেমোক্র্যাটদের জোটে এই নিয়ে লড়াই চলছে। তবে সাধারণভাবে বার্তা খুব স্পষ্ট : চীন থেকে জার্মানিকে দূরে রাখা।

কিছুদিন আগ পর্যন্ত জার্মান রাজনীতিতে মূলধারার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল যুক্তরাষ্ট্র-চীনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনো পক্ষ না নিয়ে বিকল্প হিসেবে কূটনৈতিক পথ খোলা রাখা। কিন্তু সর্বজনীন কূটনীতি ফাঁক-ফোকর তৈরি করে যা স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলি খুব সহজেই কাজে লাগাতে পারে। 

এছাড়া নির্দিষ্ট কিছু দেশের ওপর খুব বেশি ঝুকে পড়া অর্থনৈতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। যেমনটা জ্বালানির জন্য রাশিয়ার উপর অতি নির্ভর করে বিষাদময় অভিজ্ঞতা পেয়েছে জার্মানি।

আর বেইজিংয়ের প্রতি জার্মানির এই সন্দেহমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ইউরোপের অন্য দেশেও প্রতিফলিত হচ্ছে। যেমন বেইজিং সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা উদ্বেগ ফ্রান্সে ক্রমশ বড় হচ্ছে। সূত্র : নিক্কেই এশিয়া

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি