ঢাকা, রবিবার   ০৮ জুন ২০২৫

ডোনাল্ড ট্রাম্পের কয়েদি বৃত্তান্ত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৯, ২৬ আগস্ট ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

বয়স ৭৭ বছর। উচ্চতা ছয় দশমিক তিন ইঞ্চি। ওজন ২১৫ পাউন্ড অর্থাৎ, ৯৭ কেজি। তার কয়েদি নম্বর- পি০১১৩৫৮০৯। এই বর্ণনা বিশ্বের সাধারণ কোনো নাগরিকের নয়। বিশ্বের পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।

নতুন ইতিহাস গড়লেন এই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ২০২০ সালে জর্জিয়া রাজ্যের নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের মামলায় স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তিনি ফুলটন কাউন্টি কারাগারে আত্মসমর্পণ করেন। এর পরই তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় কারা কর্তৃপক্ষ তার একটি ‘মগশট’ বা মুখের ছবি নেন। মার্কিন ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যার মুখের ছবি নেওয়া হলো। ছবিটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

পরে কারা কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে ট্রাম্পের রেকর্ড প্রকাশ করে। সেখানে লেখা ছিল ট্রাম্পের উচ্চতা, ওজন ও কয়েদি নম্বর।

অবশ্য গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পরই জামিন পেয়েছেন ট্রাম্প। বিবিসি জানায়, জর্জিয়ার আটলান্টার কারাগার থেকে জামিন পেতে তাঁকে ২ লাখ ডলার মুচলেকা দিতে হয়েছে। সব মিলিয়ে মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১৩টি অভিযোগ আনা হয়। ট্রাম্প তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গত পাঁচ মাসে ফৌজদারি মামলায় এটা ট্রাম্পের চতুর্থ গ্রেপ্তারের ঘটনা। তবে পুলিশ রেকর্ডে রাখার জন্য এবারই প্রথম তার মুখচ্ছবি নেওয়া হলো। এর আগে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এভাবে ছবি নেওয়া হয়নি। এ তালিকায় পরিচিত মার্কিন ব্যক্তিত্বদের মধ্যে আছেন– ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা, আল ক্যাপৌন ও মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র।

ট্রাম্প বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করে আসছেন। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রার্থী তিনি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, জর্জিয়ার আটলান্টার ফুলটন কাউন্টি কারাগারে এবারের আত্মসমর্পণ ছিল অন্যগুলোর চেয়ে আলাদা। কারণ এখানে তাকে মুখের ছবি দিতে হয়েছে। তার কয়েদি নম্বর হয়েছে। কারা ওয়েবসাইটে অপরাধীদের তালিকায় তিনি রেকর্ডভুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ২০ মিনিটের মতো ভবনের ভেতরে ছিলেন ট্রাম্প। এ সময় বাইরে শত শত সমর্থক তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বের হয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখানে যা ঘটেছে, তা বিচার ব্যবস্থার জন্য অবমাননা। তিনি যে কিছুই করেননি, এটা সবাই জানেন।

ট্রাম্প ছাড়াও তার কয়েকজন সাবেক সহযোগী মামলায় আসামি হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ‘ব্লাক বয়েস ফর ট্রাম্প’ সংগঠনের নেতা হ্যারিসন ফ্লয়েড।

ট্রাম্পের ‘মগশট’ এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ‘মগশট’ অনেক রাজনীতিকের ক্যারিয়ার শেষ করে দিলেও ট্রাম্পের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। তার সমর্থকদের জন্য এটা হয়ে উঠেছে প্রচারণার অস্ত্র। তারা মনে করেন, কোনো দোষ না করলেও তাদের নেতাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ‘মগশটে’র ছবি ও ‘কখনও আত্মসমর্পণ’ নয় লেখা টি-শার্ট বিক্রি শুরু হয়েছে। মগ এবং স্টিকারেও এ ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

এমএম//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি