ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪

উত্তাল মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, আগ্রাসী অবস্থানে প্রশাসন

আজহারুল ইসলাম

প্রকাশিত : ০৯:৩৫, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থি ছাত্র বিক্ষোভ বড় আকার ধারণ করেছে। বিক্ষোভ দমনে চূড়ান্ত আগ্রাসী অবস্থানে মার্কিন প্রশাসন। গত এক সপ্তাহে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করায় প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এদিকে, নতুন করে ইসরাইলি হামলায় আরও ২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। 

এ যেন এক নতুন যুক্তরাষ্ট্র। দেশের বাইরের একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে উত্তাল দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ধর্ম-বর্ণ সব ভুলে শিক্ষার্থীরা এক কাতারে।

প্রতিদিন হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছেন। তাদের দাবি একটাই, যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলনীতি বদলাতে হবে। না হলে বিক্ষোভ আরও বাড়বে। 

ছাত্র বিক্ষোভ প্রথম শুরু হয়েছিল নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। এরপর থেকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ৪০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলা ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে আটক হয়েছেন ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী।  

লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া এবং আটলান্টায় বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে প্রতিদিনই বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আন্দোলন চলছে ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশেও।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিক্ষোভের কারণে বদলে যেতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইল নীতি। ইসরায়েলের বড় পৃষ্ঠপোষক, অস্ত্রদাতা এবং আর্থিক সহায়তাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র।

এরমাঝেও থেমে নেই ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলা। অবরুদ্ধ রাফা ও গাজা সিটিতে ইসরাইলি বোমা হামলায় শিশু ও নারীসহ আরও ২২ জন নিহত হয়েছেন। ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। 

এদিকে, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি আসন্ন বলে মনে করা হচ্ছে। ইসরাইলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইতিবাচক সাড়া দেয়ার ইঙ্গিতে এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি