ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪

‘সু চি প্রতারক, পশ্চিমাদের ডার্লিং’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১৬, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৭:৪০, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

‘সু চি প্রতারক, যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের ডার্লিং’— রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর দেশটির সেনাবাহিনীর গণহত্যা চালানোর প্রেক্ষাপটে অং সান সু চির ভূমিকার সমালোচনা করে তেহরান টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন কলামিস্ট স্টিফেন লেন্ডমেন  এ কথা বলেছেন।

সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারে যা চলছে ওয়াশিংটন এবং পশ্চিমা বিশ্বের কাছে উপেক্ষিত হচ্ছে। রাখাইনে যেটা হচ্ছে সেটা ধীরগতির গণহত্যা, যা বছরের পর বছর ধরে চলছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যা ক্রমশ বেড়েছে।

শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চি। দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনের শিকার হয়েছেন তিনি। কিন্তু রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান বর্বতায় নীরবতা ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি সেনাবাহিনীর অভিযান সমর্থন করেছেন। সু চির এই দৃষ্টিভঙ্গিকে কীভাবে দেখছেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে লেন্ডমেন বলেন, ‘সু চি হলেন একজন প্রতারক, যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের ডার্লিং। তিনি আমাকে মাদার তেরেসার কিছু পন্থা মনে করিয়ে দেন; যা পৌরানিক কাহিনীর চেয়েও বেশি।’

সাক্ষাতকারে মাদার তেরেসারও সমালোচনা করেন স্টিফেন লেন্ডমেন। তার মতে, ‘মাদার তেরেসা দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতা না করে দুঃখভোগের প্রথা-পদ্ধতি উপস্থাপন করেন মাদার তেরেসা। তার হাসপাতালগুলো ছিল এক ধরনের মানবগুদাম। তিনি ক্ষুধার্ত, পুষ্টিহীনতা ও রোগবালাইকে উপেক্ষা করতেন। বিলাসবহুল জীবন-যাপন করতেন। বিশ্বের ধনী, বিখ্যাত-কুখ্যাতদের সঙ্গে তার দহরম-মহরম সম্পর্ক ছিল। তিনি সাধু-সাধ্বীর চেয়ে বেশি পাপী ছিলেন। একই ধরনের অবস্থা সু চিরও, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য তিনি দায়ী।’

রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ এবং শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর তাদের দায়-দায়িত্ব পালন করছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে লেন্ডমেন বলেন, ‘ জাতিসংঘ যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদী নীতির লেজুরবৃত্তি করে, যা নিন্দনীয়।’

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি এবং অন্যান্য নিপীড়িত মানুষের জন্য জাতিসংঘের বর্তমান এবং সাবেক মহাসচিবরা কী করেছেন- অর্থহীন কথা-বার্তা ছাড়া কিছুই করতে পারেননি।’

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যে পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন, একই ধরনের পরিস্থিতি যদি পশ্চিমা দেশগুলোর নাগরিকদের ক্ষেত্রে হতো তাহলে আন্তর্জাতিক সব সংগঠন, প্রতিষ্ঠান পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিতো। এই প্রতিষ্ঠানগুলো কেন দ্বৈত-নীতি অবলম্বন করে?

লেন্ডমেন বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্বের দ্বৈত-নীতি কুখ্যাত এবং অত্যাচারী। দেখুন ইরানকে কীভাবে দেখা হয়। সিরিয়া যুদ্ধে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের সমর্থন করছে। এটাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হুমকি হিসেবে বলা হয়। যা ইসরায়েল এবং ওয়াশিংটন চর্চা করে।’

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি