ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪

রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখবে ডব্লিউএফপি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২২, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২২:৪৮, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখবে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। রোহিঙ্গারা দেশে ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

রাজধানীর একটি হোটেলে আজ শনিবার ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে এবং তাদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের পাশে আছে। কোনো রোহিঙ্গাই বাংলাদেশে না খেয়ে থাকবেন না।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ খুব ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে বলে জানান ডেভিড বিসলে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডব্লিউএফপি এটাতে বাংলাদেশের পাশে থাকবে। সংস্থাটি দুটি বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রথমত, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে থাকা। দ্বিতীয়ত, মিয়ানমার যাতে তার নাগরিকদের দ্রুত তাদের দেশে ফেরত নেয় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সে ব্যাপারে চেষ্টা চালানো।

ডেভিড বিসলে আরও বলেন, ডব্লিউএফপি মূলত দুর্যোগকালীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু এখন আমাদের ৮০ শতাংশ ব্যয়ই হচ্ছে সংঘাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা দেওয়ার জন্য।

এ সময় দুর্যোগমন্ত্রী বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের নিয়ে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কাজ করছে। স্বল্প মেয়াদে তাদের খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। মধ্য মেয়াদে তাদের বাসস্থান ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করছে। দীর্ঘ মেয়াদে যদি তাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়া বিলম্বিত হয় তাহলে তাদের নোয়াখালীর ভাষাণচরে স্থানান্তর করার জন্য কাজ করছে। নৌবাহিনী ওই চরটিকে রোহিঙ্গাদের বসবাসের উপযোগী করছে। তবে আমরা চাই খুব দ্রুতই তারা তাদের দেশে ফিরে যাক।

ওই সভায় ডব্লিউএফপি ও দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি