ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪

প্লাস্টিক কন্টেইনার নিয়ে সাঁতরে বাংলাদেশে ১১ রোহিঙ্গা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৪, ১১ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ০১:০৫, ১২ অক্টোবর ২০১৭

প্লাস্টিকের কন্টেইনার নিয়ে সাঁতরে নাফ নদী পেরিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পৌঁছেছেন ১১ রোহিঙ্গা। রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নৃসংশতা থেকে মুক্তি পেতে তারা বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানান। তাদের ভাষ্য, রাখাইনে এখনও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডব চলছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় শাহপরীর দ্বীপ থেকে ১১ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেন কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার জাফর ইমাম সজীব।

তিনি বলেন, এরা প্লাস্টিকের কন্টেইনারে ভর দিয়ে নাফ নদী সাঁতরে এসেছেন। তারা মিয়ানমার দিক থেকে এসে শূন্যরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়েন। কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে কূলে নিয়ে আসে। এরা সবাই মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু শহরের আশপাশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

ওই ১১ জনের বরাতে জাফর ইমাম সজীব জানান, মিয়ানমারে এখনও রোহিঙ্গাদের উপর দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। বুধবার সকালেও সেদেশের সেনাবাহিনী ও তাদের মদদপুষ্ট লোকজন মংডু শহরের আশপাশের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোয় সহিংসতা চালিয়েছে।

তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা বেশির ভাগই তরুণ, দুই-তিনজন শিশুও তাদের মধ্যে রয়েছে।

বিজিবি এসব রোহিঙ্গাকে বালুখালী ক্যাম্পে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বলে তিনি জানান।

গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনাক্যাম্পে হামলা চালানোর অজুহাতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী দমনে নামে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর রাজ্যের পূর্বাঞ্চলের রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামগুলোয় অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গুলিকরে, আগুনে পুড়ে, গলা কেটে হত্যা করা রোহিঙ্গাদের। নারীদের ধর্ষণসহ শিশুদেরও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে নতুন করে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও লাখ চারেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে রয়েছে। জাতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ বলে বর্ণনা করেছে।

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি