ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

খেলার মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে ইমরান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:০১, ২৬ জুলাই ২০১৮

খেলার মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান। রাজনৈতিক জীবন থেকে ব্যক্তিগত জীবন, বরাবরাই বিতর্ক জড়িয়েছেন তিনি। মনে করা হচ্ছিল এই বিতর্ক বেশ বিপাকে ফেলবে তাকে।

কিন্তু বাস্তবে হল ঠিক উল্টো। বিতর্ক কার্যত স্পর্শ করতেই পারল না। উপরন্তু জনগণের ভোটে পাকিস্তানের মসনদে বসতে যাচ্ছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮ টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের ডন পত্রিকার তথ্য মতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের (এনএ) ১২০টি আসনে পেয়ে এগিয়ে আছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

অপরদিকে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) এগিয়ে রয়েছে ৬১টি আসন নিয়ে।

দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ এবং সমৃদ্ধ পাকিস্তান উপহার দেওয়ার স্লোগান এবং প্রতিশ্রুতি তাকে এই বিপুল জয় এনে দিয়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন।

তবে ইমরান খানের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিতর্কে জর্জরিত। ব্যক্তিজীবন, যৌনতা, স্ত্রীর উপর শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, নিয়মিত মাদক সেবন, চোরাচালান, জোর করে গর্ভপাত করানোর মতো মর্মান্তিক কাজ, এমনকি পাকিস্তানকে কট্টরপন্থীদের হাতে তুলে দেওয়া— এমন সব বিস্ফোরক অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছেন তিনি।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বেশিরভাগ মানুষের ওপরে এর কোনও প্রভাব পড়েনি।

রাজনৈতিক জীবন যেমন বর্ণাঢ্য তেমন তার ব্যক্তিগত জীবনও। ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠার গল্প যেন সিনেমাকেও হার মানায় ইমরান খান।

ক্রিকেটার হিসেবে একজন `জাতীয় বীর` হয়ে ওঠেন। তিনি পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক ছিলেন।

তিনি বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে একজন। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ জয় করে।

১৯৯৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফ দল গঠন করেন তিনি। ২০০২ সালের অক্টোবরে মিয়ানওয়ালি ৭১ আসন থেকে পাকিস্তানের জাতীয় পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হন।

২০১১ সালে ৩০ অক্টোবর লাহোরের জনসমাবেশে প্রথমবারের মতো লক্ষাধিক সমর্থকের ভিড়ে দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ `নতুন` পাকিস্তান গড়ার আহ্বান জানিয়ে ছিলেন ইমরান।

চার বছর পর ২০১৬ সালে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও বেআইনি সম্পত্তি রাখার অভিযোগ এনে রাজনীতিতে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করে পিটিশন দায়ের করে পিএমএল-এন`র এক নেতা। পরের বছর ১৯১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর দেশটির সুপ্রিমকোর্ট ইমরানের পক্ষেই রায় দেন।

সূত্র: ডন।

 

এমএইচ/ এসএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি