ঢাকা, মঙ্গলবার   ২১ মে ২০২৪

আবেগতাড়িত কণ্ঠে বাজপেয়ীকে স্মরণ করলেন আদভানি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:৩৯, ২১ আগস্ট ২০১৮

গত ১৬ আগস্ট না ফেরার দেশে চলে যান ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। গতকাল সোমবার বাজপেয়ীর মৃত্যুতে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে এই স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন দেশের জ্যেষ্ঠ্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তবে স্মরণসভায় সবথেকে বেশি আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন লালকৃষ্ণ আদভানী।

ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি’র সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন একসাথে রাজনীতি করেছেন বাজপেয়ী এবং আদভানী। দীর্ঘ ৬৫ বছরের কর্মজীবনে একে অপরের সহযোগী এই দুই নেতা। একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ হিসেবে গণ্য করা হতো তাদের।

স্মরণসভায় বাজপেয়ীকে স্মরণ করতে গিয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি আদভানী। তিনি বলেন, “কোনওদিন ভাবিনি অটলজির স্মরণসভায় আসতে হবে। উনি আমার বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আসেননি, খুব দুঃখ পেয়েছি। আমি একথা এজন্যেই বলছি যাতে আপনারা বুঝতে পারেন আজ ওনার অনুপস্থিতিতে এই সভায় বক্তব্য রাখতে কতটা কষ্ট হচ্ছে আমার”।

আদভানী আরও বলেন, ““কোনওদিন ভাবিনি অটলজির স্মরণসভায় আসতে হবে। উনি আমার বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আসেননি, খুব দুঃখ পেয়েছি। আমি একথা এজন্যেই বলছি যাতে আপনারা বুঝতে পারেন আজ ওনার অনুপস্থিতিতে এই সভায় বক্তব্য রাখতে কতটা কষ্ট হচ্ছে আমার।” আদভানী বললেন, “৬৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ওনার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আমি ভাগ্যবান এই দীর্ঘ সময় ওনার সান্নিধ্য পেয়েছি। বাজপেয়ীজি যে শিক্ষা নিজের রাজনৈতিক জীবনে দিয়েছেন তা যদি আগামী দিনে সঙ্গে নিয়ে চলতে পারি, তাহলে সবারই উপকার হবে। আশা করি ওনার শেখানো পথে দলের অন্য কর্মীরাও চলবেন।”

এদিনের স্মরণ সভায় বিজেপি তথা আরএসএস নেতাদের পাশাপাশি বিরোধীরাও উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন দুই বর্ষীয়ান নেতা আনন্দ শর্মা ও গুলাম নবী আজাদ। বাম নেতাদের মধ্যে হাজির ছিলেন ডি রাজা। অন্য দলের প্রতিনিধিরাও এদিন স্মরণ করেন বাজপেয়ীকে। সকলেই স্মৃতিচারণায় অটলজির দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সাফল্যের কথা বর্ণনা করেন। অথচ এই বিরোধীদের অনেকেই ক্ষমতায় থাকাকালীন বাজপেয়ীজির বিরোধিতা করেছিলেন। সেজন্যেই হয়তো, স্মরণসভায় আদভানী আফসোস করে বলেন, “আজ আমরা তাঁকে নিয়ে যেসব কথা বলছি, সেসব যদি তাঁর জীবিতাবস্থায় বলা হত, তাহলে কতো ভাল হত!”   

আডবানীর আগে অটল বিহারীর স্মরণে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বক্তব্যে কংগ্রেসের প্রতি সমালোচনাও ছিলো সে বক্তব্যে। মোদি বলেন, “সারাজীবন বাজপেয়ীজিকে ঘৃণা, অপমান, বাধা, শ্লেষ সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই নিজের মতাদর্শ থেকে সরে আসেননি অটলজি।” নামের মতোই কাজেও অটল ছিলেন তিনি, বললেন মোদি। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে চলার শিক্ষা আডবানীজিই দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পোখরানের পরমাণু পরীক্ষার মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অটলজি। গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন ভারত কাউকে ভয় পায় না”।

//এস এইচ এস//

 


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি