ঢাকা, সোমবার   ০৭ জুলাই ২০২৫

রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের ৭ বছরের কারাদণ্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৪, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১২:৩০, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মিয়ানমারে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, বিদেশি গণমাধ্যমকে সরবরাহ করতে এসব তথ্য অবৈধভাবে সংগ্রহ করা হয়।

বিচারক ইয়ে লুইন বলেন, যেহেতু তাঁরা অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টস (দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইন) ভঙ্গ করেছেন, তাই তাঁদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

দণ্ডিত দুই সাংবাদিক হলেন ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সোয়ে ওউ (২৮)। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি গ্রামে ১০ জন রোহিঙ্গা পুরুষ ও কিশোরের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান চালানোর সময় গত ডিসেম্বরে গ্রেফতার হন তাঁরা।

আদালতে শুরু হয় প্রাথমিক শুনানি। ছয় মাসের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ৯ জুলাই ইয়াঙ্গুনের ডিস্ট্রিক্ট আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

গত ২৭ আগস্ট এ মামলার রায় হওয়ার কথা থাকলেও বিচারক অসুস্থ থাকায় রায় ঘোষণা পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল। সেদিন তাঁদের আইনজীবী বলছিলেন, ‘যদি বিচার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হয়’, তাহলে তাঁর দুই মক্কেল বেকসুর খালাস পাবেন।

এরই মধ্যে দুই সাংবাদিকের মুক্তির দাবিতে প্রচারে নামেন লেখক, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা। জাতিসংঘ ও পশ্চিমা কয়েকটি দেশও তাঁদের মুক্তির দাবি জানায়।

গত ১২ ডিসেম্বর দুই পুলিশ কর্মকর্তা ওই দুই সাংবাদিককে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে তাঁদের হাতে কিছু কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়। রেস্তোরাঁ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা গ্রেফতার হন।

এই দুই সাংবাদিকের আইনজীবী বলছেন, পুলিশই তাঁদের ফাঁসিয়েছে। কারণ, গণহত্যার বিষয়টি প্রকাশ করায় কর্মকর্তারা তাঁদের শাস্তি দিতে চাইছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন পুলিশ কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, এই দুই সাংবাদিককে শাস্তি দিতে বা মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে যাতে সংবাদ প্রচার করতে না পারেন, সেজন্য এই নৈশভোজের নাটক সাজানো হয়েছিল।

সাংবাদিকদের প্রসঙ্গে সরকার বরাবরই বলে আসছে, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টস (দাপ্তরিক গোপনীয়তা আইন) ভঙ্গ করার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

গত বছরের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর জাতিগত নিধন চালায় মিয়ানমার সেনারা। সেনা নিধন থেকে বাঁচতে নাফ নদী হয়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশ উদ্বাস্তু-শরনার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিলেও বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার অনন্য নজীর স্থাপন করেছে।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি