ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ জুলাই ২০২৫

‘রাজীব গান্ধী হত্যাকারীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:২৫, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বড়সড় সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের৷ সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যাকারীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেবে তামিল নাড়ু সরকারই৷ জানিয়ে দিল সর্বোচ্চ আদালত৷ বৃহস্পতিবার এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে রাজীব গান্ধীর সাত হত্যাকারীর মুক্তির বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল৷

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, নবীন সিনহা ও কে এম যোসেফের বেঞ্চ এদিন অন্যতম অভিযুক্ত এ জি পেরারিভালানের ক্ষমাভিক্ষার আবেদন বিবেচনা করে দেখতে নির্দেশ দেয় তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে৷ ২০ অগাস্ট ৪৭ বছর বয়েসী পেরারিভালান ক্ষমাভিক্ষার আবেদন করে৷ শীর্ষ আদালতে এই অভিযুক্ত জানায় দু বছর আগে তামিল নাড়ু সরকারের কাছে এই মর্মে আবেদন জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু এখনও কোনও নির্দেশ এই বিষয়ে আসেনি৷

এরপরেই সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে নির্দেশ দেয় পেরারিভালানের ক্ষমাভিক্ষার আবেদন খতিয়ে দেখার জন্য৷ এরই সঙ্গে বাকি ছয় দোষীরও মুক্তির বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

এরআগে, ২০১৬ সালে তামিলনাড়ু সরকার রাজীব হত্যায় সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ, দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে তারা জেলবন্দী। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। শীর্ষ আদালত এবিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে মতামত জানাতে বলে। তামিলনাড়ুর সরকারের সাতজন রাজীব-হত্যাকারীর মুক্তির প্রস্তাবের কড়া বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতকে বলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারীদের মুক্তি দেশের ভাবমূর্তির জন্য সঠিক হবে না৷ এ বিষয়ে বিভিন্ন ফোরামের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে বন্দীদের মুক্তি প্রাপ্য নয়। হলফনামায় সরকার জানায়, রাষ্ট্রপতি রাজীব গান্ধীর হত্যাকারী হিসেবে বন্দী সাত অপরাধীর মুক্তির আবেদন খারিজ করেছেন।

কেন্দ্র আরও জানায়, ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোডের ৪৩৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, তামিলনাড়ু সরকারের এই প্রস্তাবে রাজি নয় কেন্দ্র। অপরাধীরা ক্ষমার যোগ্য নয়। ২০১৫ সালে তামিলনাড়ু সরকার সাতজন রাজীব হত্যাকারীকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এ ব্যাপারে শুনানি শুরু করে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চায় সর্বোচ্চ আদালত। কেন্দ্রের মত ছিল, মামলাটি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর খুন সংক্রান্ত, তাই আরও বেশি সতর্ক থাকা উচিৎ।

তথ্যসূত্র: কলকাতা ২৪ ঘণ্টা।

এসএইচ/

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি