ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪

‘পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হত্যায় আমেরিকা জড়িত’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৩৭, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়া-উল-হক কোনো দুর্ঘটনায় মারা যাননি। বরং তাকে বহনকারী বিমানটি বিধ্বস্তের ঘটনায় স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্র জড়িত বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের সিনেটর মুশাহিদ হোসেইন। তার এ দাবি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও শিথীল করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

১৯৮৮ সালে সি-১৩০ হারকিউলিস বিমান বিধ্বস্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়া-উলের হকের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কয়েক কর্মকর্তা এবং পাকিস্তানে নিয়োজিত তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্নোল্ড রাফেল এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হার্বাট ওয়াসসোমও নিহত হয়েছিলেন।

পাকিস্তানের বেসরকারি চ্যানেল জিও টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, জেনারেল জিয়াকে হত্যার জন্য আমেরিকা এবং পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করেছে।

আমেরিকা কেনো নিজ রাষ্ট্রদূতকে হত্যা করবে জেনারেল জিয়া-উল হক নিহত হওয়ার এক বছর পর মার্কিন কংগ্রেস সদস্য স্টিফেন সোলারজ কথা প্রসঙ্গে তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। জবাবে সিনেটের হোসেইন বলেন, এটা ঘটনাক্রমে হয়েছে। কারণ জিয়া-উল হকের বিমানে রাফেল এবং জেনারেল ওয়াসসোমের ওঠার কথা ছিল না। মুশাহিদ হোসেইন জানান, একেবারে শেষ মুহূর্তে তাদেরকে বিমান উঠিয়েছিলেন জেনারেল জিয়া-উল হক।

কয়েকজনকে ডিঙ্গিয়ে জেনারেল জিয়া-উল হককে সেনাপ্রধান হিসেবে পদোন্নতি দিয়েছিলেন জুলফিকার আলী ভুট্টো। পরবর্তীতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ভুট্টোকে সরিয়ে ১৯৮৮ সালের ১৭ আগস্ট ক্ষমতা দখল করে জেনারেল জিয়া-উল হক। ১৯৭৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন তিনি।

আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীকে পর্যুদস্ত করতে আমেরিকা জেনারেল জিয়া-উল হককে ব্যবহার করেছে। কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সদ্য স্বাধীন হওয়া রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের চেষ্টা করছিলেন জেনারেল জিয়া-উল হক। আর এ কারণেই তাকে হত্যা করেছে আমেরিকা।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি