ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইরাকে সুন্দরীদের হত্যার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে যে কারণে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৭, ৪ অক্টোবর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ইরাকের বেছে বেছে সুন্দরীদের হত্যার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। সম্প্রতি সীমা কাসেম নামে সাবেক মিস ইরাক খেতাব জয়ী লাইভে এসে বলেছেন তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এর আগে একজন মডেলকে হত্যা করা হয় দেশটিতে। কিন্তু কেন মডেল বা সুন্দরী প্রতিযোগীতায় জেতা এসব নারীদের টার্গেট করা হচ্ছে?

গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার টারা ফারেস নামে একজন মডেলকে বাগদাদে গুলি করে হত্যা করা হয়। টারা ফারেসের বিশাল ফ্যান ফলোয়ার ছিল। ইন্সটাগ্রামে ২৮ লক্ষ ফলোয়ার।

এর ঠিক দুই দিন আগে একজন নারী হিউম্যান রাইটস অ্যাকটিভিস্ট কে বাসরা শহরে গুলি করে মারা হয়। ওই নারীর নাম সৌদ আল আলী।

এ বছরের আগস্ট মাসে বাগদাদে দুইটি বিউটি পার্লারের দুইজন মালিককে তাদের নিজেদের বাড়ীতে যেয়ে হত্যা করা হয়।

এ দু’জনই ছিলেন নারী। তারা মিস ফারেসের সঙ্গে সখ্য ছিল বা তাদের একটা সামাজিক যোগাযোগ ছিল।

এটা পরিষ্কার না এই হত্যাকাণ্ডগুলোর একটার সঙ্গে আরেকটার কোন যোগসূত্র আছে কীনা।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদী বলেছেন, তার মনে হয়েছে হত্যাকাণ্ড গুলো সুপরিকল্পিত এবং তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মিস ইরাক কাসেমের ইন্সটাগ্রামে ২৭ লক্ষ ফলোয়ার রয়েছে। তিনি তার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যেখানে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছেন, ইরাকে যেসব নারীরা নিজেদের চেষ্টায় একটা পরিচিতি তৈরি করেছে তাদেরকে "মুরগির মত জবাই" করা হয়েছে।

মিস ফারেসের বয়স ছিল ২২বছর। তিনি তার গাড়ীতে করে সেন্ট্রাল বাগদাদে যাওয়ার সময় দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী দিনের বেলায় গুলি করে হত্যা করে তাকে।

তিনি তার নিরাপত্তার জন্য গত তিন বছর ধরে ইরবিলে বসবাস করছিলেন। তবে মাঝে মাঝে রাজধানীতে আসতেন।

ইরাকের হিউম্যান রাইটস গ্রুপ ইরাকি আল আমাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা হানা এড্ওয়ার বলেছেন, যেসব নারীরা `পাবলিক ফিগার` তাদেরকে আঘাত করার অর্থ অন্য নারীদের ঘরে বন্দী থাকতে বাধ্য করার একটা পরিবেশ তৈরি করা।

সূত্র : বিবিসি।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি