‘আলোচনার মাধ্যমেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায় বাংলাদেশ’

মিয়ানমার সরকারের অত্যাচার ও নির্যাতনেরমুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান বিরাট বোঝা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  দীর্ঘায়িত এই রোহিঙ্গা সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি করতে চায় বাংলাদেশ।

লন্ডনের স্থানীয় সময় সোমবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় লর্ড আহমেদ অব উইম্বলডন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে একথা জানান। লর্ড আহমেদ বর্তমানে যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ এবং জাতিসংঘ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

যুক্তরাজ্য সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ নিযুক্ত হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলন এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগদান উপলক্ষ্যে গত ১৯ জুলাই সরকারি সফরে লন্ডন পৌঁছেন।

লর্ড আহমেদ রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে তার দেশের সকল প্রকার সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন এবং এ বিষয়টি নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন অবগত রয়েছেন বলেও তিনি জানান। শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে একত্রিত করে এর বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশে বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকল ধর্মমতের মানুষ এদেশে স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে।’
ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ জনগণের কাছে তুলে ধরতে তার সরকার সারাদেশে ইসলামিক রিসার্স সেন্টার গড়ে তুলছে বলেও শেখ হাসিনা লর্ড আহমেদকে অবহিত করেন।

নারীর ক্ষমতায়নে তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন,সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬০ শতাংশ শিক্ষক নারীদের থেকে নিয়োগ করছে। বলেন, একমাত্র শিক্ষাই নারীর ক্ষমতায়নের নিশ্চয়তা বিধান করতে পারে।

 লর্ড আহমেদের সহধর্মিনী সিদ্দিকা আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো.নজিবুর রহমান এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস

আই/