ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

করোনায় না ফেরার দেশে ২১ হাজার ভারতীয় 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৫, ৯ জুলাই ২০২০

ভারতে প্রতিনিয়ত আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস। যেখানে ইতোমধ্যে ২১ হাজারের বেশি ভারতীয়র প্রাণ কেড়েছে ভাইরাসটি। আর গড়ে প্রায় পঁচিশ হাজার শনাক্তে সংক্রমিতের সংখ্যা পৌনে ৮ লাখের কোটায় পৌঁছেছে। অপরদিকে, আক্রান্তদের দুই তৃতীয়াংশই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। 

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ৮৭৯ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৬৭ হাজার ২৯৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি তিন রাজ্যের (মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু)। 
 
একইসময়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৪৮৭ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ১২৯ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত কোটির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

ভারতে আক্রান্ত ও প্রাণহানির শীর্ষে বরাবরই মহারাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজারের বেশি জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে এ রাজ্যে সংক্রমণ দুই লাখ ২৩ হাজার ৭২৪ জনে দাঁড়িয়েছে। আর প্রাণহানি ঘটেছে ৯ হাজার ৪৪৮ জনের। 

তামিলনাড়ুতে আক্রান্ত বেড়ে ১ লাখ ২২ হাজার ৩৫০ জনে ঠেকেছে। সেখানে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭শ জনের। 

রাজধানী দিল্লিতেও সংক্রমণ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। যেখানে এ পর্যন্ত করোনার শিকার ১ লাখ ৪ হাজার ৮৬৪ জন। কেজরিওয়ালের রাজ্যে প্রাণহানি ৩ হাজার ২১৩ জন।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে করোনার শিকার এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার ৮২৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮২৭ জনের। 

এছাড়া প্রতিনিয়ত সংক্রমণ বাড়ছে ৯টি প্রদেশে। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থা গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, তেলেঙ্গা, কর্নাটক ও রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলোতে।  

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। 

তবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়লেও, হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও স্বস্তি দিচ্ছে ভারতবাসীকে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৭১ হাজার ৩৫৪ জন। 

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৫৪৭ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন পৌনে ৫ লাখের বেশি ভুক্তভোগী। যা একদিনে সর্বোচ্চ সুস্থতা। যেখানে বেঁচে ফেরার হার ৬১ শতাংশ।

এআই//এমবি


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি