ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ জুলাই ২০২৫

অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আহ্বান সু চি’র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৪, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

Ekushey Television Ltd.

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, সকালে অং সান সু চি এবং অন্য রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করার পর তারা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ক্ষমতা নিয়েছেন সেনাপ্রধান মিন অং লাইং। এই সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন এনএলডি পার্টির নেতা অং সান সু চি।

মিয়ানমারের ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি পার্টি সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে যে, তাদের নেতা অং সান সু চি জনগণকে এই সেনা অভ্যুত্থান মেনে না নিয়ে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সামরিক বাহিনীর এই পদক্ষেপ দেশকে আবারও স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেয়ার পদক্ষেপ।’

অং সান সু চির নাম উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমি জনগণকে এটি মেনে না নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং আন্তরিকভাবে এই সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিবিসির দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সংবাদদাতা জনাথান হেড তার বিশ্লেষণে বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছে যে তারা একটি অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে যা ১৯৬২ সালের পর বেসামরিক কোন সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম। এটি সংবিধানেরও লঙ্ঘন। সবশেষ গত শনিবারই সংবিধান মেনে চলার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছিল সামরিক বাহিনী।

সরকার আর সামরিক বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণটিও বেশ পরিষ্কার। আর তা হচ্ছে সামরিক বাহিনী সমর্থিত ইউএসডিপি পার্টি গত নভেম্বরের নির্বাচনে খুবই খারাপ ফল করেছে। অন্যদিকে এনএলডি ২০১৫ সালের নির্বাচনের তুলনায়ও আরও ভাল করেছে।

নির্বাচনের পর চলতি সপ্তাহেই পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন বসার কথা ছিল। এই অধিবেশনে পরবর্তী সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে মূলত নির্বাচনের ফলকেই অনুমোদন দিতো। তবে অভ্যুত্থানের কারণে সেটিও আর হচ্ছে না।

মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট উইন মিয়ন্ত একমাত্র ব্যক্তি যিনি জরুরি অবস্থা জারি করতে পারেন। তাকেও সু চি’র সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি