ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪

জমি নিয়ে বিরোধে চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিব্বতিদের সংঘর্ষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪৪, ২১ নভেম্বর ২০২১

চীনা নীতির বিরুদ্ধে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে তিব্বতের ডোমদা গ্রামে। কারণ কর্তৃপক্ষ তিব্বতীয় উপজাতিদের জমি জোরপূর্বক হস্তগত করছে। এ ছাড়া দখল করা জমির ক্ষতিপূরণও দেয়নি তারা এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।

স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, একটি নির্মাণ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ হলেও স্থানীয়দের ক্ষতিপূরণ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে, গ্রামবাসী ও চীনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়েছে। তবে গত ১০ নভেম্বরের ওই ঘটনায় হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরএফএ-এর সূত্র জানায়, কাউকে কোনো ভিডিও রেকর্ড করার বা হট্টগোলের ছবি তোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি, এবং কেউ আহত হয়নি। তবে, এই জমির সমস্যাটি এখন খুব জটিল হয়ে উঠেছে। ফলে, আবারো সংঘর্ষের শঙ্কা থেকে আপাতত সমস্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ডোমদা অঞ্চলটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পানি ও বিদ্যুতের ভালো সরবরাহের জন্য পরিচিত। এখানকার যাযাবরের বসতিগুলো ভেঙে চীনা অভিবাসী ও পর্যটকদের জন্য আবাসন তৈরি করছে চীন। এতে স্থানীয়দের তীব্র আপত্তি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বাসিন্দাদের জমির মূল্য পরিশোধ না করার৷ 

উল্লেখ্য, ১৯৫১ সাল থেকে চীনা কর্তৃপক্ষ তিব্বত এবং পশ্চিম চীনের তিব্বত অঞ্চলের উপর কঠোর দখলদারত্ব বজায় রেখেছে। শুধু তাই নয়, তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিচয়ের শান্তিপূর্ণ প্রকাশকে সীমিত করতে বাধ্য করা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে নিপীড়ন, নির্যাতন, কারাদণ্ড এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হচ্ছে অঞ্চলটির মুক্তিকামী মানুষদের।

তবে জোরপূর্বক তিব্বত দখল করে নিলেও এই দখলকে বৈধতা দিতে একে অঞ্চলটির জন্য 'শান্তিপূর্ণ মুক্তি' বলে অভিহিত করে বেইজিং। এ ছাড়া তিব্বতের বর্তমান দালাই লামা যিনি ভারতে নির্বাসিত, তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে ঘোষণা করেছে বেইজিং। সূত্র: এএনআই

এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি