ঢাকা, সোমবার   ১৪ জুলাই ২০২৫

২০২৪ সালে শুরু হবে ‘বে-টার্মিনাল’র অপারেশন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৮, ১৯ আগস্ট ২০২১

Ekushey Television Ltd.

২০২৪ সালে ‘বে-টার্মিনাল’র অপারেশন শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বে টার্মিনাল হবে। ২০২৪ সালে বে টার্মিনালের অপারেশন শুরু করতে চাই।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) চট্টগ্রামের আনন্দবাজার এলাকায় সাগরতীরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ‘বে-টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্প পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বে টার্মিনালে তিনটি টার্মিনাল থাকবে। এর একটি চট্টগাম বন্দর করবে। বাকি দু’টি টার্মিনাল বৈদেশিক বিনিয়োগে হবে। দেশের স্বার্থ রক্ষা করে যাদের সাথে সমঝোতা হয় তাদেরকে বাকি দু’টি টার্মিনাল নির্মাণ করতে দেয়া হবে।

এতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) সুলতানা আফরোজ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী এর আগে জাহাজে করে সাগর থেকে বে টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন করেন। চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার প্রবৃদ্ধিকে সামাল দিতে বে-টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেখানে দু’টি কন্টেইনার টার্মিনাল, একটি মাল্টি-পারপাস টার্মিনাল নির্মিত হবে। বে-টার্মিনালকে বৈরী আবহাওয়া এবং সাগরের বড় ঢেউ থেকে রক্ষা করতে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ব্রেক ওয়াটার’ নির্মিত হবে।

বে-টার্মিনাল থেকে বহিঃনোঙ্গরের দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। বিদ্যমান চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ে এর পরিধি প্রায় পাঁচগুণ হবে। ১২ মিটার ড্রাফটের এবং ২৮০ মিটার দৈর্ঘের জাহাজ ভিড়ানো সম্ভব হবে। বে-টার্মিনাল নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ২,৫০০ একর জমি প্রয়োজন হবে। এর মধ্যে ৮৭০ একর জমির প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া গেছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন ৬৬ একর জমির অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি খাস জমি ৮০৩ একর অধিগ্রহণের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেছে। বাকি ১,৬২৯ একর জমি বে-এরিয়া হতে রিক্লেইম করা হবে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি