নীরবে দেশের জন্য কাজ করছেন শেখ রেহানা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৫:৪১, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৫:৪২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

বড়বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে শেখ রেহানা
শেখ রেহানা, নীরবে দেশের জন্য কাজ করছেন সংগ্রামী জীবনের দুঃসহ কষ্ট বুকে চেপে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ৬৭তম জন্মদিন আজ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি প্রথম উত্থাপন করেন প্রচারবিমুখ শেখ রেহানা। অথচ না রাজনীতির ময়দান, না কোন আড়ম্বরপুর্ণ উপস্থিতি- কোথাও নেই শেখ রেহানার আধিপত্যময়তা। বরং বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কর্মযজ্ঞের নিভৃতচারী একজন যোদ্ধা হয়েই পাশে আছেন রাষ্ট্রনায়ক বড়বোন শেখ হাসিনার।
১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর; গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। ৫ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় তিনি। মা শেখ ফজিলাতুন নেসার ডাক নাম রেনুর আদ্যাক্ষর আর বড় বোন শেখ হাসিনার নামের শেষের বর্ণ মিলিয়ে পারিবারিক পদবী যুক্ত করে নাম রাখা হয় শেখ রেহানা।
রাজনৈতিক কারণে পিতৃ স্নেহ থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ছিলেন শৈশবে। তবে সে অভাব পূরণ করেছেন মা- বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা। আর আদর্শ, সততা ও সাহসের প্রতিরূপ বঙ্গবন্ধুই শেখ রেহানার অনুপ্রেরণা।
পঁচাত্তরের পনের আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে পিতা-মাতা, ভাইবোনসহ হারিয়েছেন স্বজনদের। সে সময় বিদেশে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান দুই বোন।
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর যখন তিনি দেশে পদার্পণ করেন তখন একটা কঠিন সময় ছিল। জয়-পুতুল তখন ছোট। শেখ রেহানা তখন জয়-পুতুলের দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেছেন- তুমি যাও, দেশ ও মানুষকে রক্ষা করো। দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করো, আমি সন্তানদেরকে দেখছি। তিনি দলের কোন পদে নেই, সরকারের কোন পদ-পদবীতে নেই তারপরও তিনি নেপথ্যে থেকে মানুষের কল্যাণের কথাই সব সময় ভাবছেন।
পুরো পরিবার হারিয়ে প্রথমে ভারতে, পরে লন্ডনে- এভাবে নির্বাসিত পথচলায় কাটে দীর্ঘ সময়।
এম নজরুল ইসলাম আরও বলেন, শেখ রেহানা সেদিন তাঁর পিতা-মাতা, পরিবারের সদস্যদের হত্যার প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করে তিনি আবেগঘন বক্তব্য রেখেছিলেন। তাঁর আবেগঘন বক্তব্যে সেদিন হলের সবাইকে কাঁদিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর আন্তর্জাতিক মহলে প্রথম প্রতিবাদ বা বিচার দাবি করার অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শেখ রেহানা সেদিন প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
১৯৭৭ সালে লন্ডনে সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষারত ড. শফিক সিদ্দিকের সঙ্গে বিয়ে হয় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার। এই বিয়ের কথাবার্তা পারিবারিকভাবে পাকা হয়েছিলো ১৯৭৪ সালে। এই দম্পতির প্রথম সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআরআই’র সঙ্গে যুক্ত। দ্বিতীয় সন্তান টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রভাবশালী সদস্য। তৃতীয় সন্তান আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী কাজ করছেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায়।
বড় বোন শেখ হাসিনা টানা ৩ মেয়াদসহ ৪ বারের প্রধানমন্ত্রী। অথচ ক্ষমতা কিংবা অহমের লেশ ছোঁয়নি তাকে। ব্রিটেনে সাধারণ বাঙালি নাগরিকের মতোই সাদামাটা জীবনে অভ্যস্ততা; যেমন ছিলেন তাঁর পিতা বাঙালির প্রাণপুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন