নাপা সিরাপে ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি
প্রকাশিত : ১৮:৩৯, ১৪ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৮:৪৫, ১৪ মার্চ ২০২২

‘নাপা সিরাপ পান করে’ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে যে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে সেই তিনটি ব্যাচের নমুনা পরীক্ষা করে ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
সোমবার (১৪ মার্চ) ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ এ কথা জানান।
অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আশুগঞ্জের যে দোকান থেকে কেনা ওষুধ সেবনের পর ওই দুই শিশু মারা গেছে, সেই দোকান থেকে আটটি বোতল সংগ্রহ করা হয় স্যাম্পল হিসেবে। সেই দোকান থেকে আরও দুইটি ব্যাচের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সেখানে কোনও সমস্যা পাওয়া যায়নি।’
শিশুকে যে বোতল থেকে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল, সেটা পরীক্ষা করতে পারেনি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। কিন্তু স্যাম্পল হিসেবে যেগুলো নেওয়া হয়েছিল, তার নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায়, সেগুলো মানসম্মত। পরীক্ষা করে ক্ষতিকর কিছু পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ‘নমুনা পরীক্ষায় ওই তিনটি ব্যাচের নাপা সিরাপে ক্ষতিকর কোনও উপাদান পাওয়া যায়নি।’
বাচ্চা দুটি কেন কী কারণে মারা গেছে, তা ভিসেরা রিপোর্টে পাওয়া যাবে। তবে ওই শিশু দুটির মৃত্যুর কারণ এখনও উদঘাটিত হয়নি। তার জন্য ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের অপেক্ষা করা হচ্ছে।
মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘যে বোতলের ওষুধ খেয়ে শিশু দুটি মারা গেছে, ওই বোতল সিআইডি নিয়ে গেছে। সিআইডির পরীক্ষার পর প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে তারা নাপা সিরাপ খেয়েই মারা গেছে কি না।’
মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যু ঘটনার পর আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে সেখানে পাঠানো হয়। স্থানীয় পুলিশ, ওষুধ সমিতির সদস্য, সিভিল সার্জনসহ পূর্বে বন্ধ করা দোকানে অভিযান চালান তিনি। ওখান থেকে নমুনা হিসেবে ৮ বোতল সিরাপ সংগ্রহ করেন। এগুলো পরীক্ষার জন্য আনা হয়।’
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘এছাড়া একটা টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং অন্য একটি টিম কারখানা পরিদর্শন করে। এরপর আমরা একটি চিঠি লিখি স্থানীয় পর্যায়ে ওই ব্যাচের নমুনা সংগ্রহ করে আমাদের এখানে পাঠাতে। মাঠ পর্যায়ে যারা ছিলেন তার বলেছেন, সিরাপের কারখানা মান নিয়ন্ত্রণ ও উৎপাদন সন্তুষ্টজনক। এছাড়া দোকান থেকে সংগৃহীত ৮ নমুনার মধ্যে ৩টি পরীক্ষা ফল আমাদের হাতে এসেছে। এটির মান সঠিক আছে। মাঠ পর্যায়ে আরও নমুনা পরীক্ষা করা হবে।’
এসি
আরও পড়ুন