ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৯ জুলাই ২০২৫

বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত: নাহিদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৯, ২২ আগস্ট ২০২৪ | আপডেট: ১২:১০, ২২ আগস্ট ২০২৪

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

Ekushey Television Ltd.

অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্র কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। 

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ভোর ৬টায় রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ে প্রবেশের পর কাজ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ডুবেছে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও মৌলভীবাজারসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চল। জাতীয় সংকটের এই সময় দায়িত্ব পালনে কেউ অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বন্যাদুর্গত জেলার এলাকাগুলোতে দ্রুত সরকারি-বেসরকারি স্পিড বোট পাঠানোসহ পাঁচ দফা নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অফিসে যান। দিয়েছেন কঠোর বার্তাও।

বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান করে বলুন প্রধান উপদেষ্টা থেকে নির্দেশ আছে। এক ঘণ্টার মধ্যে কন্ট্রোল রুম চালু করুন।

তিনি আরও বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানকে যেন আর শিক্ষার্থীদের ঘেরাও করা না লাগে। জাতির ক্রান্তিলগ্নে আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নেমে কাজ করুন। সব বাহিনী উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের যেন আর নির্দেশনা দেয়া না লাগে।

নাহিদ বলেন, আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমরা এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশের বিপক্ষে যদি কোনো রাষ্ট্র দাঁড়ায় তাহলে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা রুখে দেবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সব শ্রেণির মানুষকে জাতীয় প্রয়োজনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান নাহিদ।

শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিফাত আহমেদ। দাবিসমূহ:

১. সরকারি-বেসরকারি যত স্পিড বোট আছে এই মুহূর্তে বন্যা কবলিত স্থানে পাঠাতে হবে।

২. ছোট ছোট লঞ্চ বিভিন্ন পোর্টে যেগুলো আছে খুব দ্রুতই বন্যাকবলিত এলাকায় পাঠাতে হবে।

৩.বন্যায় উদ্ধার কাজে নিয়োজিত সব যানবাহনকে কর্তৃপক্ষ থেকে জরুরিভাবে জ্বালানি সরবরাহ করতে হবে।

৪. সব বেসরকারি ট্রলার ও স্পিড  বোটকে এই ক্রান্তিলগ্নে ফ্রি করে দিতে হবে।

৫. যতদিন এই দূর্যোগ অবস্থা বিরাজমান থাকবে ততদিন ২৪ ঘণ্টাই কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং প্রতিটি এলাকায় প্রতিনিধি পাঠাতে হবে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি