সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, যা বললেন আসিফ নজরুল
প্রকাশিত : ১৭:২৬, ৯ মে ২০২৫

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে দায়ী করছেন কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী। তবে শুক্রবার (৯ মে) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুল লিখেছেন, “আমার বিরুদ্ধে অনলাইনে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক মন্তব্য ছড়াচ্ছে। খুনের মামলার আসামি হিসেবে সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ গমনে বাধা দেওয়া পুলিশের ও গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্ব, যা আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমার মন্ত্রণালয়ের আওতায় কেবল নিম্ন আদালতের বিচারকরা আছেন। তারা কারও চলাচলে বাধা দেওয়ার দায়িত্বে নেই, বিমানবন্দর পাহারা দেওয়া তো নয়ই।”
আইন উপদেষ্টা তাঁর পোস্টে আরও উল্লেখ করেন, “আইসিটি আইনে সংগঠন নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত খসড়াতেই ছিল। এটি আমি নিজেই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উত্থাপন করেছি। সেই খসড়ার আমি বিরোধিতা করব, এটা অকল্পনীয়।”
তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “কে কোন সভায় কী বলেছে, তা নিয়ে ছাত্র উপদেষ্টা বা অন্য কাউকে দোষারোপ না করে বোঝা উচিত, যেকোনো সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সম্মিলিত দায়িত্বে হয়। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আমাদের মধ্যে মতভেদ নেই, শুধু প্রয়োগের পদ্ধতি নিয়ে ভিন্নমত থাকতে পারে।”
ড. আসিফ নজরুল আশ্বস্ত করে বলেন, “আইনের কোনো ঘাটতি নেই। আইসিটি আইন ছাড়াও সন্ত্রাস দমন আইনের মতো আইন রয়েছে। প্রয়োজন হলে কয়েকদিনের মধ্যেই আইনি সংশোধনী আনা সম্ভব। রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মতি বা আদালতের রায় পেলে দ্রুতই আইনানুগভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। আমরা সে পথেই এগোচ্ছি, ইনশাল্লাহ্।”
এসএস//
আরও পড়ুন