জনপরিসরে মাইক ও সুরযন্ত্র ব্যবহারে লাগবে অনুমতি
প্রকাশিত : ২১:৪১, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
লিখিত অনুমতি ছাড়া জনপরিসরে লাউডস্পিকার,মাইক,অ্যামপ্লিফায়ার ও সুরযন্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, শব্দদূষণের অন্যতম বড় উৎস হর্ন ব্যবহারের ক্ষেত্রে পূর্বের বিধিতে আমদানি, উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রি সংক্রান্ত কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না থাকায় তদারকিতে বড় সীমাবদ্ধতা ছিল। শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫-এ এবিষয়ে স্পষ্ট শাস্তির বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ফলে অনিয়ন্ত্রিত হর্ন ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থলে বনভোজন নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে শব্দসীমা ৯০ ডেসিবল নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়াও অনুষ্ঠান রাত ৯টার মধ্যে শেষ করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।নীরব এলাকায় পটকা, আতশবাজি,হর্ন বা অনুরূপ শব্দসৃষ্টিকারী যেকোনো পণ্য ব্যবহারও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।
অন্যদিকে রাত্রিকালে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখাসহ শিল্পকারখানা এবং জেনারেটরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নতুন বিধান সংযোজন এবং সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন বিধিমালায় ম্যাজিস্ট্রেটগণের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে ট্রাফিক পুলিশের ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রাফিক সার্জেন্টের নিচের পদ নয় এমন কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সম্মুখে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে সেই কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেই জরিমানা আরোপ করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, সরকার অংশীজনদের নিয়ে সভা ও কর্মশালা শেষে খসড়া প্রস্তুত করেছে। পরবর্তীতে সকল মন্ত্রণালয়ের মতামত গ্রহণ এবং জনগণের মতামতের জন্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে খসড়া উন্মুক্ত করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন দেশের বেস্ট প্র্যাকটিস পর্যালোচনা করে ২০০৬ সালের বিধিমালায় থাকা দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত এবং বাস্তবতার নিরিখে সেগুলো শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন বিধিমালা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এমআর//
আরও পড়ুন










